বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রবীণ থেকে নবীন, সব অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্যেই বিয়ে ভাঙার চল শুরু হয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদের খবরে এবার সংবাদ শিরোনামে ‘মহাভারত’ এর কৃষ্ণ ওরফে অভিনেতা নীতিশ ভরদ্বাজ (nitish bharadwaj)। স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ে ভাঙার জন্য আদালতে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘ ১২ বছরের সম্পর্ক ভাঙতে চলেছেন নীতিশ ভরদ্বাজ ও স্ত্রী স্মিতা। ২০১৯ এর সেপ্টেম্বরেই আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন দুজন। স্মিতা পেশায় একজন আইএএস অফিসার। দুই যমজ কন্যাকে নিয়ে ইন্দোরে থাকেন তিনি। মুম্বইয়ের এক আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিনেতা।
বিচ্ছেদের কারণ সম্পর্কে কিছু বলতে না চাইলেও নীতিশ জানান, ভগ্ন হৃদয় নিয়ে বেঁচে থাকলে মৃত্যুর থেকেও বিবাহ বিচ্ছেদে যন্ত্রণা বেশি হয়। উল্লেখ্য, নীতিশ ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী স্মিতা দুজনেরই এটা দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। এর আগে মনীষা পাটিলকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা। ২০০৫ সালে ভেঙে যায় সে সম্পর্ক।
নীতিশ বলেন, ‘হতভাগ্য’ হওয়া সত্ত্বেও তিনি বিয়েতে বিশ্বাস করেন। একটা পরিবার ভাঙলে সন্তানরাই সবথেকে বেশি কষ্ট পায়। তাই সন্তানদের দিকটা দেখার দায়িত্ব বাবা মায়ের উপরেই বর্তায়, যাতে তাদের কষ্টের মাত্রাটা একটু কম করা যায়। তবে নিজের দুই মেয়ের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে কিনা সে বিষয়ে কোনো মন্তব্যই করতে চাননি নীতিশ ভরদ্বাজ।
পরপর দুদিনে দুটো সম্পর্ক ভাঙার খবর এল বিনোদুনিয়া থেকে। সোমবার রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচ্ছেদের ঘোষনা করেন দক্ষিণী অভিনেতা ধনুষ ও তাঁর স্ত্রী ঐশ্বর্য। দীর্ঘ ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল ধনুষ ও ঐশ্বর্যর।
নামী প্রযোজক কস্তুরি রাজার ছেলে ধনুষ। ২০০৪ সালে রজনীকান্ত কন্যা ঐশ্বর্যর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে, যাত্রা রাজা ও লিঙ্গ রাজা। দীর্ঘ সংসার জীবনের পর আচমকা বিচ্ছেদের কারণ কী সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।