সিরিয়ালে দেখানো যাবে না কূটকাচালি, বিদায় নেবেন জুন আন্টি-তিন্নি দিদিরা?

বাংলাহান্ট ডেস্ক: সন্ধ‍্যা হলেই পাড়ার এক এক বাড়ি থেকে ভেসে আসে টিভির এক এক রকম আওয়াজ। এই সময়টা মা কাকিমাদের সিরিয়াল (serial) দেখার সময়। সংসারের সমস্ত কাজ সেরে এই সময়টাতেই একটু ফুরসত পান তারা। সন্ধ‍্যা থেকে রাত পর্যন্ত চলে একের পর এক সিরিয়াল। কখনো শ্রীময়ী, কখনো খড়কুটো, কখনো মিঠাই আবার কখনো সর্বজয়া।

ব‍্যতিক্রমী বাড়ি আছে অবশ‍্যই। তবে সিরিয়ালপ্রেমী জনতার শতাংশটা একটু বেশির দিকে। সিরিয়াল দেখতে দেখতে তাতেই বুঁদ হয়ে যান দর্শকরা। বিভিন্ন চরিত্রের সঙ্গে নিজেদের একাত্ম করে ফেলেন। তাই তো গুনগুনের কষ্টে তাদের চোখে জল আসে। জুন আন্টির দুষ্টুমিতে গা রি রি করে ওঠে। টিভির পর্দায় জুন আন্টির ষড়যন্ত্র দেখে টিভিতেই রিমোট ছুঁড়ে মেরেছেন, এমন দৃশ‍্য তো সোশ‍্যাল মিডিয়ার দৌলতেই দেখেছি আমরা।

79460859

মোদ্দা কথা, সিরিয়ালে সুবোধ নায়ক নায়িকারা যেমন প্রয়োজনীয় তেমনি কূটবুদ্ধিসম্পন্ন খলনায়ক নায়িকারাও অপরিহার্য। ভাল মন্দে মিশিয়েই তো মানুষ, সংসার। লক্ষ্মীর পাশাপাশি অলক্ষ্মীর কনসেপ্টও তো রয়েছে। কিন্তু সিরিয়ালের এই কূটকাচালি আর বেশিদিন দেখতে পাবেন না দর্শকরা। প্রিয় খলনায়ক নায়িকাদেরও হয় বিদায় জানাতে হবে, নয়তো ভোল বদলে ভাল মানুষটি হয়ে যাবেন তারা‌।

না না, একেবারেই গল্প নয়। এ একেবারে খাঁটি বাস্তব। এমনি আইন আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। সিরিয়ালের ঝগড়া, বহু বিবাহ, পরকীয়া, কূটকাচালি এসব নাকি নারী এবং সমাজের প্রতি ভুল বার্তা প্রেরণ করছে। তাই এখন থেকে নো ঝগড়া, ওনলি ভালবাসা দেখাতে হবে দর্শকদের। এমনি নোটিস জারি হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে। বদলাতে চলেছে ১৯৯৪ সালের কেবল টেলিভিশন নেটওয়র্ক আইন।

এমন সুর অবশ‍্য অনেক আগেই শোনা গিয়েছিল বাংলার মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের গলায়। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, একজনের তিন তিনটে বৌ! এ তো কৈকেয়ী মন্থরাদের আমলে হত। যারা জানেন না সিরিয়ালের কূটকাচালি দেখে দেখে তারাও জেনে যাচ্ছেন। কিন্তু তারপরেও যে বদল হয়নি কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের নির্দেশিকায় কি তা বদলাবে? প্রশ্ন দর্শক থেকে শিল্পী সবারই। কারোর মতে, সমাজে সংসারে যেটা ঘটে সেটাই দেখানো হয় সিরিয়ালে। তাই শুধু ভালটা দেখালো ভুল করা হবে। আবার কেউ কেউ উপর মহলের আজ্ঞাকেই শিরোধার্য মনে করছেন।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর