নেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, সুস্থ ব্যক্তির অস্ত্রোপচারে খরচ ৩৭ হাজার টাকা! মেসেজ পেয়েই উড়ল ঘুম

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (swasthya sathi card) সাহায্যে অস্ত্রোপচার করতে খরচ হয়েছে সাড়ে ৩৭ হাজার টাকা। শীতের দুপুরের ভাতঘুমের মাঝে এমন ম্যাসজে পেতেই আঁতকে ওঠেন মহিষাদলের (mahishadal) বাসিন্দা শঙ্কর মান্না। কারণ কিছুই হয়নি তাঁর, দিব্যি সুস্থ সবল। এমনকি রয়েছেন বাড়িতেই।

মাস কয়েক আগে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন মহিষাদলের বাসিন্দা পেশায় গাড়ির মিস্ত্রি শঙ্কর মান্না। কিন্তু এখনও সেই কার্ড হাতে পাননি তিনি। কবে পাবেন সেই আশায় অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে গত ৩ রা জানুয়ারি শঙ্করের মোবাইলে মেসেজ আসে শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি তমলুকের এক নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছেন।

bbvvbbdj

প্রথম দিকে এই ম্যসেজের বিষয়টাতে তেমন আমল দেননি শঙ্কর। কিন্তু ৫ ই জানুয়ারি তাঁর ফোনে আসে আর একটি ম্যাসেজ। যেখানে লেখা ছিল, অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বরাদ্দ অর্থ থেকে ৩৭,৫০০ টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। আর আজই তাঁকে হার্সিংহোম থেকেও ছুটি দেওয়া হচ্ছে।

এমন ম্যাসেজ পেয়ে চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যায় শঙ্কর মান্নার। এরপর তমলুকের ওই নার্সিংহোমে যোগাযোগ করলে, তাঁরা জেলাশাসকের অফিসে কথা বলতে বলেন বলে জানান শঙ্কর। তারপর ই-মেল মারফত রবিবার মহিষাদলের বিডিওকেও নিজের অভিযোগ জানান তিনি। যদিও এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায়ের বক্তব্য, ‘জেলাশাসকের দফতরের স্বাস্থ্যসাথী বিভাগ এই সমস্যার বিষয়টা বলতে পারবে’।

অন্যদিকে তমলুকের ওই নার্সিংহোমের ম্যানেজার রাজনারায়ণ গাঁতাইত দাবি করেছেন, ‘শঙ্কর মান্না নামে এক রোগীর চিকিৎসার জন্য তাঁর আঙুলের ছাপ দিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে’। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমন ব্যাখ্যা দিলেও, নাম বিভ্রাট হওয়ার কোন কারণ নেই। নাম একই হলেও, আধার নম্বর ও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নম্বর তো আর এক হতে পারে না- এমন প্রশ্নও উঠছে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর