ব্রয়লার ছাড়ুন! এই বিশেষ জাতের মুরগীর ব্যবসা করলেই ফুলে ফেঁপে উঠবে ‘লক্ষ্মী ভান্ডার’

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এখনকার দিনে পোল্ট্রির ব্যবসা (Poultry Business) অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি ব্যবসা।সাধারণত আমাদের দেশের বেশিরভাগ খামার মালিকরাই ব্রয়লার মুরগিই (Broiler Chicken) বেশি পালন করে থাকেন।তবে অনেকেই হয়তো জানেন না পোল্ট্রি চাষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি লাভ হয় স্থানীয় মুরগির বদলে উচ্চমানের বিশেষ মুরগি পালন করলে।

কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না এই বয়লার মুরগি (Broiler Chicken) পালনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে। তাছাড়া এমন কিছু বিশেষ প্রজাতির মুরগি রয়েছে যা ব্রয়লার মুরগির (Broiler Chicken) তুলনায় অনেক বেশি উন্নত প্রজাতির। তাছাড়া এই সমস্ত মুরগি পালন করলে খামার মালিকদের লাভ-ও হয় অনেক বেশি। এপ্রসঙ্গে পশুপালন বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন পশ্চিম চম্পারণ ও বিহারের অধিকাংশ জেলাতেই এই বিশেষ জাতের মুরগি পালন করা যেতে পারে।

এই সমস্ত লাভজনক উন্নত প্রজাতির মুরগি গুলির মধ্যে অন্য অন্যতম সোনালী, বনরাজা এবং কাদাকনাথ। তবে  এক্ষেত্রে অসুবিধা একটাই যে এই সমস্ত মুরগি ব্রয়লারের তুলনায় অত্যন্ত ধীরগতিতে বড় হয়। তবে এ কথা ঠিক দীর্ঘমেয়াদী পোল্ট্রি ব্যবসা চালানোর জন্য খামার মালিকদের ব্রয়লার মুরগি ছেড়ে সোনালী, কাদাকনাথ এবং বনরাজার মতো উচ্চ জাতের মুরগি পালন করা উচিত। 

এই বিষয়ে মাধোপুর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের পশুপালন বিশেষজ্ঞ ডাঃ জগপাল বলেছেন, অধিকাংশ খামারি মুরগি পালনের জন্য ব্রয়লার মুরগি পালন করেন। কারণ এই ব্রয়লার মুরগিগুলি অন্যান্য জাতের মুরগির তুলনায় অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তাই ব্যবসার জন্য এগুলো দ্রুত প্রস্তুত-ও করা যায়। তবে এখানে বলে রাখি ব্রয়লার মুরগি খাওয়া স্বাস্থ্যের যেমন ভালো নয় তেমনি  এই মুরগি যত তাড়াতাড়ি সুবিধা দেওয়া শুরু করে, ক্ষতির হার তত বেশি হয়।

আরও পড়ুন: ফুচকাতেও ক্যানসারের বিষ? বাঙালির ‘ইমোশন’ নিয়ে ভয়ানক তথ্য দিল খাদ্য সুরক্ষা দফতর

তাছাড়া এই ব্রয়লার মুরগিদে র মধ্যে রোগের আশঙ্কাও সবচেয়ে বেশি থাকে। এমনকি পাখিদের মধ্যে হালকা রোগ হলেও তা প্রথমেই  ব্রয়লার মুরগিকেই  প্রভাবিত করে। তাছাড়া, এগুলি সোনালী, কাদাকনাথ এবং বনরাজা প্রজাতির মুরগির মতো পুষ্টিকর হয় না। আর এই কারণেই এই জাতির মুরগিগুলি   ব্যয়বহুল-ও হয় না। তাই ব্রয়লার চাষের ক্ষেত্রে সব সময়ই ক্ষতি হওয়ার ভয়ে থাকেন খামার মালিকরা। 

Broilar

এপ্রসঙ্গে ডাঃ জগপাল জানিয়েছেন, বাণিজ্যিকভাবে সোনালী, কাদাকনাথ ও বনরাজা জাতের মুরগিগুলির বড় হতে সময় একটু বেশিই লাগে। জানা যাচ্ছে সোনালি জাতের মুরগি তৈরি হতে প্রায় ৩ মাস সময় লাগে, আর কাদাকনাথ ও বনরাজা জাতের মুরগি তৈরি হতে সেখানে সময় লাগে আরও বেশি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সময়টা ৫ মাস-ও হতে পারে। তবে এই জাতের মুরগিগুলি কখনই  কোনো রোগে ভোগে না। তাছাড়া বাজারে এই মুরগি বিক্রি করলে  খুব ভাল দাম-ও পাওয়া যায়। তাই খামার মালিকদের কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না।


Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর