বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় বলে, বাঙালির ভ্রমণ মানেই ‘দিপুদা’ অর্থাৎ দিঘা, পুরী আর দার্জিলিং। কিন্তু এই কয়েকটা জায়গা ছাড়াও বাংলার মধ্যে বা তার আশেপাশেই রয়েছে এমন দুর্দান্ত কিছু ঘুরতে যাওয়ার জায়গা যেখানে গেলে আপনি খুঁজে পাবেন প্রাণের আরাম, আত্মার শান্তি। আজ আমরা এমন একটা জায়গার কথা বলব যেখানে আছে পাহাড়, জঙ্গল আর অবাধ বনভূমি। সব মিলিয়ে বলা যায়, সাধ্যের মধ্যে স্বাদপূরণের মুশকিল আসান ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ‘আসানবনি’।
আসানবনি আসলে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দলমা পাহাড়ের কোলে অবস্থিত ছোট্ট একটি শহর। তবে, আপাতদৃষ্টিতে একে ছোট শহর বলে মনে হলেও এটি আসলে জাতীয় সড়কের পাশে পাহাড় কেটে তৈরি করা একটি জনপদ। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য, মনোরম পরিবেশ কর্মব্যস্ত জীবনে দু’দণ্ড শান্তির ঠিকানা হয়ে উঠতেই পারে। সেখানের অপরূপ মনোরম পরিবেশের মাঝে জলের লেক দেখে মন ভরে উঠবে।
গরম সময়টুকু বাদ দিলে অন্য যেকোন সময় টুকু করে ঘুরে (Weekend Tour) আসতে পারেন আসানবনি থেকে। চোখজুড়ানো মনোরম পরিবেশ আর সেইসঙ্গে পাহাড়ের ধাপ কেটে বানানো মসৃণ রাস্তা প্রতিমুহূর্তেই মুগ্ধ করবে আপনাকে। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে পাহাড়ের কোলে সূর্যোদয়ের অপরূপ দৃশ্য থেকে যেন চোখ ফেরানো দায়। আদিবাসী গ্রাম ঘুরে, সেখানকার সহজ জীবনযাপনের সঙ্গে একাত্ম হতে পারলে সে এক অন্য ‘নিজেকে’ খুঁজে পাবেন এখানেই। এখানেই আছে সেই দলমা পাহাড় যেখান থেকে হাতির দল সমতলে নেমে আসে।
এককথায় মধুচন্দ্রিমায় ঘোরার জন্য আদর্শ স্থান বলতে পারেন। আসানবনি যাওযার জন্য টাটানগরগামী যে কোনো ট্রেনে চেপে টাটা স্টেশনে নামার পর আসানবনি পৌঁছানোর জন্য কোনো একটি গাড়ি ভাড়া করে নিলেই হলো। তাছাড়া এসপ্ল্যানেড থেকে প্রতিদিন জামসেদপুরের সরকারি ও বেসরকারি যে বাসগুলো যায় সেগুলোতেও আপনি যেতে পারবেন। যদিও সেখানে হোটেল এবং রিসর্টের কমতি নেই, কিন্ত সেগুলো আগে থেকে বুক করে রাখলে তবেই সুবিধা পাবেন। সব মিলিয়ে বলা যায়, সঙ্গী অথবা সঙ্গিনীকে নিয়ে ঘোরার জন্য আসানবনির জুড়ি মেলা ভার।