বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে (United Arab Emirates) তৈরি হতে চলেছে বিশাল হিন্দু মন্দির (Hindu Temple)। ইতিমধ্যেই সেখানকার প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আবুধাবিতে নির্মীয়মান এই হিন্দু মন্দির নিয়ে খুব খুশি এবং উত্তেজিত। তিনি চান, আবুধাবিতে নির্মিত এই মন্দিরটি যেন ঐশ্বরিক ও মহৎ হয়। পাশাপাশি, মন্দিরটি যাতে এত বড় আকারের হয় যে সারা বিশ্ব থেকে ভক্তরা এটি দর্শনের জন্য আসেন সেই দিকটিও মাথায় রাখা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, আবুধাবিতে নির্মিত এই মন্দিরটি বিএপিএস স্বামীনারায়ণ সংস্থা তৈরি করছে। এমতাবস্থায়, সভাপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানের তরফে ব্রহ্মবিহারীদাস স্বামী এই তথ্য জানিয়েছেন। মূলত, ব্রহ্মবিহারী দাস হলেন আবুধাবিতে নির্মিত মন্দিরের প্রধান। তাঁর তত্ত্বাবধানেই এই মন্দিরের কাজ শেষ হবে।
“আবুধাবিতে হিন্দু মন্দির নির্মাণ একটি অলৌকিক ঘটনা”: সম্প্রতি ভারত সফরে এসে ব্রহ্মবিহারীদাস স্বামী জানিয়েছিলেন যে, আবুধাবিতে নির্মিত এই হিন্দু মন্দিরটি তাঁর আছে অলৌকিকতার চেয়ে কম কিছু নয়। তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না যে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ এই মন্দিরের প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, “আজও ভাবতে অবাক লাগে আবুধাবিতে একটি হিন্দু মন্দির তৈরি হচ্ছে।” উল্লেখ্য যে, ব্রহ্মবিহারীদাস স্বামী মহারাজ ১৯৯৭ সালের এপ্রিল মাসে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সফরে গিয়েছিলেন। তখন থেকেই রাজধানীতে একটি বিশাল মন্দির নির্মাণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর এই স্বপ্ন আজ সত্যি হওয়ার পথে। যার কারণে তিনি খুবই খুশি।
২০১৫ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সরকার মন্দিরের জন্য জমি দিয়েছিল: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সরকার আবুধাবিতে মন্দির নির্মাণের জন্য জমি প্রদান করেছিল। সেই সময়ে যুবরাজ ছিলেন শেখ মোহাম্মদ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সফরকালে তিনি মন্দিরের জন্য জমি উপহার দেন। সেটাই ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রথম আরব সফর। ২০১৮ সালে, বিএপিএসের-এর প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে শেখ মোহাম্মদ এবং মোদীর সাথে দেখা করেছিলেন। এরপর দ্বিতীয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সফরে আবুধাবি পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
উল্লেখ্য যে, মন্দিরের জন্য প্রাথমিকভাবে ১৩.৫ একর জমি নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে অতিরিক্ত ১৩.৫ একর জমি দেওয়া হয়। যা মূলত পার্কিংয়ের জন্য ছিল। ব্রহ্মবিহারী দাসের মতে, মন্দিরটি প্রেম, সম্প্রীতি এবং সহনশীলতার প্রতীক হবে। কারণ এই মন্দিরের ভিত্তি শুধুমাত্র এই তিনটি জিনিসের উপর ভিত্তি করেই রয়েছে। এমতাবস্থায়, বর্তমানে আবুধাবিতে মোট ২৭ একর জমিতে মন্দির নির্মাণের কাজ চলছে। পাশাপাশি,মন্দিরে যে গোলাপি পাথর বসানো হচ্ছে তা প্রায় এক হাজার বছরের পুরোনো।