বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একটি বিষয় উপস্থাপিত করব যেটি জানার পর চমকে উঠবেন সবাই। কারণ, পাকিস্তান (Pakistan) তার বিমান বাহিনীতে যে JF-17 যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে সেটির ইঞ্জিন হল RD-33। যেটি এখন উৎপাদিত হবে ভারতে (India)। হ্যাঁ, প্রথমে শুনে অবাক হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির পর ভারতে শীঘ্রই RD-33 ইঞ্জিন তৈরির কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি এটাও জানা গিয়েছে যে, রাশিয়ার সাথে সহযোগিতায় ভারত যে RD-33 ইঞ্জিনগুলি তৈরি করবে, তা ভারতীয় বিমান বাহিনীর (IAF) মিগ-29-এ ইনস্টল করা হবে। যেগুলি শুধুমাত্র এই যুদ্ধবিমানগুলির ক্ষমতাই বাড়াবে না, বরং তাদের আয়ুও বাড়াবে।
ভারতে তৈরি হবে RD-33 ইঞ্জিন: পাকিস্তান চিন থেকে JF-17 থান্ডার ফাইটার জেট কিনেছে এবং এই ফাইটার জেটটিতে RD-33 ইঞ্জিন লাগানো হয়েছে। যেটি চিন রাশিয়ার কাছ থেকে কিনেছে। JF-17 যুদ্ধবিমান, পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স এবং চিনের চেংডু এয়ারক্রাফ্ট কর্পোরেশন যৌথভাবে তৈরি করেছে। এটি একটি ফাইটার জেট এবং সিঙ্গেল-ইঞ্জিন হালকা মাল্টি-রোল যুদ্ধ বিমান।
এদিকে, ইতিমধ্যেই হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) RD-33 ইঞ্জিন তৈরির জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছ থেকে ৫,২৪৯.৭২ কোটি টাকার চুক্তি পেয়েছে। এই প্রসঙ্গে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে “এই অ্যারো ইঞ্জিনগুলি HAL-এর কোরাপুট বিভাগ দ্বারা উৎপাদিত হবে। অনুমান করা হচ্ছে যে এই অ্যারো ইঞ্জিনগুলি ভারতীয় বিমান বাহিনী (IAF) দ্বারা MiG-29 ফ্লিটের অপারেশনাল সক্ষমতা বজায় রাখার প্রয়োজন মেটাবে।”
আরও পড়ুন: IPL শুরুর আগেই চমক, CSK-র অধিনায়কত্ব ছাড়লেন ধোনি! নতুন ক্যাপ্টেন রুতুরাজ
এই ইঞ্জিনগুলি রাশিয়ান অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচার (OEM) এর সাথে প্রযুক্তি স্থানান্তর লাইসেন্স সহ ভারতে তৈরি করা হবে। এদিকে, ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “ওই অ্যারো-ইঞ্জিন রাশিয়ান OEM থেকে ট্রান্সফার অফ টেকনোলজি (TOT) লাইসেন্সের অধীনে তৈরি করা হবে।” জানিয়ে রাখি যে, ভারতীয় বায়ুসেনার Mikoyan MiG-29 যুদ্ধবিমানগুলির জন্য ১০০ টিরও বেশি Klimov RD-33 ইঞ্জিন সরবরাহ করার জন্য HAL-এর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যদিও এর আগে HAL এই ইঞ্জিনগুলিকে অ্যাসেম্বেল করত।
আরও পড়ুন: শুধু ভারতই নয়, গোটা বিশ্বেই কমছে জনসংখ্যা! ঘনিয়ে আসছে বিপদ, ঘুম ওড়াল নয়া রিসার্চ
MiG-29 এবং RD-33 ইঞ্জিন: জানিয়ে রাখি যে, ভারত প্রথম ১৯৮৪ সালে MIG-29 কিনেছিল এবং তারপর ১৯৮৭ সালে MIG-29 ভারতীয় বিমান বাহিনীর বহরে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ভারতীয় বায়ুসেনা তিনটি স্কোয়াড্রনে ৬৬ টি MiG-29 চালায়। একই সময়ে, ভারত এই MiG বিমানগুলির লাইফলাইন বাড়ানোর জন্য ৯০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। এই আপগ্রেডের পর এর নামকরণ করা হয় MiG-29 UPG। তবে, নতুন RD-33 ইঞ্জিন এই MIG বিমানের আয়ু কমপক্ষে ১০ বছর বাড়িয়ে দেবে। এছাড়াও ভারত তার এয়ারক্রাফ্ট কেরিয়ারের জন্য দুটি স্কোয়াড্রনে নৌ ভেরিয়েন্টের ৪৫ টি MiG-29K/KUB পরিচালনা করে। যেগুলি RD-33MK ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হয়। যা RD-33-র একটি উন্নত রূপ।