বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)-এর মাধ্যমে ইতিহাস তৈরি করেছে ISRO (Indian Space Research Organisation)। গত ১৪ জুলাই অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা চন্দ্রযান-৩ দীর্ঘ প্রতীক্ষা এবং উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে ২৩ অগাস্ট চাঁদের মাটি স্পর্শ করে বিরাট নজির তৈরি করে। তবে, চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার পরবর্তী পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাটি এবং পাথরের নমুনা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে চন্দ্রযান-৪-এর পরিকল্পনা করছে ISRO। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত শুক্রবার পুণেতে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মেটিরোলজির ৬২ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডিরেক্টর নীলেশ দেশাই ISRO-র দু’টি বড় মিশন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানান। যেগুলির মধ্যে রয়েছে ‘লুপেক্স’ ( LUPEX) এবং চন্দ্রযান-৪।
আরও পড়ুন: সুখবর! বিপুল কর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করল এই কেন্দ্রীয় সংস্থা, এভাবে করুন আবেদন
তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ISRO-র বিজ্ঞানীরা কিছুদিন আগে এই মিশনের বিষয়ে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। এমতাবস্থায়, প্রধানমন্ত্রী মিশনটি সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব প্ৰকাশ করেন এবং বিজ্ঞানীদের এই বড় চ্যালেঞ্জটি নিতে বলেন। পাশাপাশি, চন্দ্রযান-৪-এর প্রসঙ্গে নীলেশ দেশাই আরও বলেন যে, এটি একটি নমুনা রির্টান মিশন হবে। যা আগামী পাঁচ-সাত বছরের মধ্যে প্রস্তুত হবে।
আরও পড়ুন: কেউ নিচ্ছে না ছোট ১ টাকার কয়েন? এখনই সতর্ক না হলে পড়বেন বিপদে, বড় আপডেট RBI-এর
কি জানালেন বিজ্ঞানীরা: পাশাপাশি বিজ্ঞানীদের তরফে জানানো হয়েছে, চন্দ্রযানের পরবর্তী এই মিশনে চন্দ্রযান-৩-এর জন্য যা ব্যবহৃত হয়েছিল তার চেয়ে অনেক বড় ল্যান্ডার এবং বড় রোভার যুক্ত হতে চলেছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, চন্দ্রযান-৪-এ থাকবে মোট চারটি মডিউল। সেগুলি হল ট্রান্সফার মডিউল, ল্যান্ডার মডিউল, অ্যাসেন্ডার মডিউল এবং রি-এন্ট্রি মডিউল। পাশাপাশি, এই মিশনে সমস্ত অংশকে লঞ্চ করার জন্য দু’টি রকেটের প্রয়োজন হবে বলেও জানা গিয়েছে।
কবে চাঁদে মানুষ পাঠাবে ভারত: এদিকে, চন্দ্রযান-৪ ছাড়াও ISRO জাপানি মহাকাশ সংস্থা JAXA-র সহযোগিতায়, লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন মিশন অর্থাৎ “LUPEX” নামে আরেকটি চন্দ্র মিশনে কাজ করছে। এই মিশনের মাধ্যমে চাঁদের অন্ধকার দিকটিতে সন্ধান চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ভারত চন্দ্রযানের বিষয়ে পরপর পরিকল্পনা করে রেখেছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদের লুনার সারফেসে ভারতীয় মহাকাশচারীকে পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী ২০৩৫-এর মধ্যে ইন্ডিয়ান স্পেস স্টেশন স্থাপন করার নির্দেশও দিয়েছেন।