বাংলা হান্ট ডেস্ক: সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের দেশে (India) ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে রেল যাত্রীর সংখ্যা। যার ওপর ভর করে গণপরিবহণের মাধ্যমগুলির ক্ষেত্রে অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে রেলপথ (Indian Railways)। এমতাবস্থায়, ক্রমবর্ধমান যাত্রীদের সঠিকভাবে পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় রেলের তরফে। যার ফলে প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হন যাত্রীরা।
এর পাশাপাশি, ট্রেনে সফরের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় যাত্রীদের। এদিকে, সময় সময়ে সেই সব নিয়মে পরিবর্তনও করা হয় রেলের তরফে। এমতাবস্থায়, ট্রেনে সফর সংক্রান্ত যেকোনো নিয়মের পরিবর্তনের জেরেই প্রভাবিত হন যাত্রীরা। ঠিক সেই রেশ বজায় রেখেই এবার একটি নতুন সিদ্ধান্তের বিষয় উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে, ট্রেন ছাড়ার ১০ মিনিটের মধ্যে কোনো যাত্রী তাঁর সিটে পৌঁছতে না পারলে ওই যাত্রীর টিকিট (Ticket) বাতিল হয়ে যেতে পারে। এমতাবস্থায়, প্রশ্ন উঠছে যে রেলের তরফে সত্যিই কি এমন নিয়ম শুরু করা হয়েছে? বর্তমান প্রতিবেদন এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল।
আরও পড়ুন: শুরু হয়ে গিয়েছে রামলালার জাদু! ২০২৮ সালের মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলার পার করবে উত্তরপ্রদেশের অর্থনীতি
কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, যাত্রীরা তাঁদের মূল বোর্ডিং স্টেশনের পরিবর্তে পরবর্তী স্টেশনে ট্রেন ধরেন, কিন্তু এই নতুন নিয়ম লাগু হলে তাঁরা আর ট্রেনে বসতে পারবেন না। ইতিমধ্যেই একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে যে, রেল এই নতুন নিয়ম শুরু করেছে। যেটি অনুযায়ী, ট্রেন চলার ১০ মিনিটের মধ্যে কোনো যাত্রী তাঁর সিটে না পৌঁছলে ওই যাত্রীর টিকিট বাতিল হয়ে যাবে। জানিয়ে রাখি যে, রেল তাঁর বেশিরভাগ টিকিট চেকিং স্টাফকে হ্যান্ডহেল্ড টার্মিনাল প্রদান করেছে। যেটিতে যাবতীয় তথ্য দ্রুত অনলাইনে নথিবদ্ধ করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে, কোনো যাত্রী ১০ মিনিট পরেও তাঁর বার্থে না এলে ওই টিকিট বাতিল হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ক্রিকেট ভক্তদের জন্য চরম দুঃসংবাদ! বিশ্বকাপে হবে না ভারত পাকিস্তান ম্যাচ, সামনে এল বড় তথ্য
অর্থাৎ, বিষয়টিকে সোজা ভাবে জানালে কোনো যাত্রী যদি ১০ মিনিটের মধ্যে নিজের সিটে না পৌঁছন, সেক্ষেত্রে তিনি সমস্যায় পড়বেন। কারণ, নির্দিষ্ট বোর্ডিং পয়েন্টের পর টিকিট পরীক্ষক অপেক্ষা করবেন ১০ মিনিট পর্যন্ত। তারপর যদি যাত্রী তাঁর নিজের সিটে না পৌঁছতে পারেন সেক্ষেত্রে টিকিট পরীক্ষক ওই সিটটিকে “আনঅকুপাইড” হিসেবে চিহ্নিত করে টিকিটটি বাতিল পর্যন্ত করতে পারেন। মূলত, ট্রেনের টিকিটের বিষয়ে আরও স্বচ্ছতা আনতে এবং বিষয়টিকে আরও ভালোভাবে নজর দিতেই রেলের তরফে এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।