বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশবাসীর জন্য সুখবর। ডায়াবিটিস (Diabetes), উচ্চ রক্তচাপ (high blood pressure)-সহ আরও বেশ কিছু রোগের মোট ৮৪টি ওষুধের খুচরো দাম বেঁধে দিল সরকারি সংস্থা। নির্দিষ্ট করে দেওয়া দামের থেকে বেশি দাম নিলে অভিযুক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে কমিটি।
ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইস অথরিটি (NPPA)-র পক্ষ থেকে ওষুধের মূল্য নির্ধারণ আইন, ২০১৩ অনুসারে ৮৪টি ওষুধের দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টাইপ-২ ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের পাশাপাশি, কোলেস্টরেল (Cholesterol) এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে যে ফর্মুলা ব্যবহৃত হয় তারও দাম নির্দিষ্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এনপিপিএ (NPPA) বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, খুচরো ওষুধের দামও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। জিএসটি বাদ দিয়ে একটি ভোগলিবস এবং (আরএস) মেটফর্মিন হাইড্রোক্লোরাইড ট্যাবলেটের দাম হতে চলেছে ১০ টাকা ৪৭ পয়সা। প্যারাসিটামল এবং ক্যাফেনের একটি ট্যাবলেটের দাম নির্ধারিত হয়েছে ২ টাকা ৮৮ পয়সা। ১৩ টাকা ৯১ পয়সা নির্দিষ্ট হয়েছে রোসুভ্যাস্টাটিন অ্যাসপিরিন এবং ক্লোপিডোগ্রেলের একটি ট্যাবলেটের দাম। এমনকি দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে হৃদরোগের ওষুধেরও।
এর সঙ্গে জারি করা হয়েছে আরও একটি বিজ্ঞপ্তি। সেখানে এনপিপিএ বলেছে, চিকিৎসায় ব্যবহৃত তরল অক্সিজেন এবং অক্সিজেন ইনহেলেশন অর্থাৎ যেটি স্প্রে হিসেবে ব্যবহৃত হয় তার দামের সংশোধিত ঊর্ধ্বসীমা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এনপিপিএ বাজারে ওষুধের সরবরাহে নজর রাখা এবং ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করে থাকে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থা নির্দেশ দিয়েছে, ওষুধপ্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে নির্ধারিত দাম মেনে চলতেই হবে। তারা যদি কোনও ভাবে বেশি দাম নেয়, তা হলে সুদ-সহ সেই অতিরিক্ত দাম ফেরত দিতে হবে। খুচরো বিক্রেতা এবং ডিলারদের ওষুধের দামের তালিকা রাখতে হবে জনসমক্ষে। ক্রেতারা যাতে ওষুধের দাম স্পষ্ট দেখতে পান সে ব্যবস্থাও করতে হবে।