বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিভিন্ন অফ বিট স্পট লুকিয়ে রয়েছে কালিম্পংয়ের বিভিন্ন কোনায়। উত্তরবঙ্গের এইসব পাহাড়ি গ্রামে এখন সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। কিন্তু আজ আমরা আপনাদের এমন এক গ্রাম সম্পর্কে বলতে চলেছি যে জায়গার সন্ধান খুব কম মানুষ জানেন। এই গ্রামটি একসময় ব্রিটিশদের কাছে খুবই পরিচিত ছিল। এই গ্রামের চারদিক ঘেরা সবুজ জঙ্গল, পাহাড় ও ঝর্ণায়।
এখানে পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে এসেছে তিন তিনটে ঝর্ণা। সেই থেকে এই জায়গার নাম হয়েছে গীতখোলা থ্রি সিস্টার ওয়াটারফলস (Geet Khola Three Sister Waterfalls)। গীতখোলা ভিউ পয়েন্ট থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার গেলেই আপনি পেয়ে যাবেন নকডারা হ্রদ। নকডারা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫৬০০ কিলোমিটার উঁচু। এটি একটি পাইন গাছে ঘেরা ছোট্ট জনপদ। একটা সময় ব্রিটিশরা এই জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করে দিয়েছিল।
ব্রিটিশরা উনবিংশ শতাব্দীতে এই জঙ্গল থেকে কাঠ কেটে তৈরি করত আসবাবপত্র। এখান থেকে কাঠ রপ্তানি করা হতো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এরপর ব্রিটিশ সরকারের উদ্যোগে ১৯৩৭ সালে এখানে তৈরি হয় একটি লোহার ব্রিজ। কাঠের রপ্তানি এরপর আরো বৃদ্ধি পায় এই অঞ্চল থেকে। কিন্তু বর্তমানে এখানকার প্রাকৃতিক সম্পদ খুব একটা ব্যবহার করা হয় না। পর্যটকদের আনাগোনা অপেক্ষাকৃত কম।
এই গ্রামের দুই পাশে রয়েছে ঘন সবুজ জঙ্গল। পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে ঝর্ণা। পাহাড়ের মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশদের তৈরি সেই লোহার ব্রিজ। বর্তমানে সেই লোহার ব্রিজের সাথে যুক্ত হয়েছে একটি ঢালাই ব্রিজ। এই ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করেন গ্রামের মানুষ। এই ব্রিজ থেকে আপনারা উপভোগ করতে পারেন গীতখোলার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
গোটা এলাকাই ছবি তোলার জন্য আদর্শ। লুনসেন হয়ে আপনি সহজেই পৌঁছাতে পারেন গীতখোলা। নিউমল জংশনে নেমে মালবাজার, ওদলাবাড়ি হয়ে পৌঁছতে হবে লুনসেন। এখান থেকে মাত্র কয়েক মিনিটেই আপনি পৌঁছাতে পারেন গীতখোলা। আপনাদের বলে রাখি এই জায়গায় রাত্রি যাপনের বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেই। রাত কাটাতে হলে আপনাকে থাকতে হবে ঝান্ডি, লুনসেল কিংবা নকডারাতে।