বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সামনে এসেছে। মূলত, গত অর্থবর্ষে দেশের (India) পাবলিক সেক্টরের ৩ টি পেট্রোলিয়াম কোম্পানি বিপুল লাভ অর্জন করেছে। গত অর্থবর্ষে অর্থাৎ, ২০২৩-২৪-এ তিনটি কোম্পানি ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড (HPCL), ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL) এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (HPCL) প্রায় ৮১,০০০ কোটি টাকার বাম্পার মুনাফা হাসিল করেছে। এই পরিসংখ্যান তেল সঙ্কটের আগের বছরগুলিতে তাদের বার্ষিক আয়ের চেয়ে বেশি।
কোম্পানির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় ভালো: ইতিমধ্যেই কোম্পানিগুলি শেয়ার বাজারকে এই তথ্য জানিয়েছে। তিনটি কোম্পানিই ২০২৩-২৪ সালে স্বতন্ত্র এবং ইন্টিগ্রেটেড ভাবে তাদের সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করেছে। স্টক মার্কেটে দেওয়া তথ্য অনুসারে, IOCL ২০২৩-২৪ সালে ৩৯,৬১৮.৮৪ কোটি টাকার নিট মুনাফা অর্জন করেছে। ২০২২-২৩ সালে নিট মুনাফা ছিল ৮,২৪১.৮২ কোটি টাকা। এমতাবস্থায়, সংস্থাটি যুক্তি দিতে পারে যে ২০২২-২৩-এ র তার মুনাফা তেল সঙ্কটের কারণে প্রভাবিত হয়েছিল। তবে, সঙ্কটের আগের বছরগুলির সঙ্গে তুলনা করলেও কোম্পানিটির মুনাফা ভালো হয়েছে। ২০২১-২২ সালে কোম্পানির নিট মুনাফা ছিল ২৪,১৮৪ কোটি টাকা এবং ২০২০-২১ সালে এটি ছিল ২১,৮৩৬ কোটি টাকা।
গত অর্থবর্ষে ৮,৯৭৪ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে: জানিয়ে রাখি যে, BPCL ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ২৬,৬৭৩. ৫০ কোটি টাকার নিট মুনাফা অর্জন করেছে। যা ২০২২-২৩-এর ১,৮৭০.১০ কোটি টাকার অঙ্কের চেয়ে অনেক বেশি। এদিকে, স্টক মার্কেটে দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ সালে HPCL-এর নিট মুনাফা হয়েছে ১৪,৬৯৩.৮৩ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষে কোম্পানিটি ৮,৯৭৪.০৩ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যেই হবে বিরাট নজির! জাপানকে হারিয়ে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারত
এদিকে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে হওয়া ক্ষতির কারণে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২৩-২৪-এর বাজেটে IOCL, BPCL এবং HPCL-কে তাদের শক্তি পরিবর্তনের পরিকল্পনার জন্য ৩০,০০০ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। পরে এই পরিমাণ অর্ধেক অর্থাৎ ১৫,০০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। এই সাহায্য ইক্যুইটি বিনিয়োগ বা রাইটস ইস্যুর মাধ্যমে দেওয়া হবে। তবে এই সাহায্য এখনও দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: হয়ে যান সতর্ক! বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়ছে সাইবার হামলা, “টার্গেট” ভারতও, ঘনিয়ে আসছে বড় বিপদ
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ জ্বালানি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী এই তিনটি কোম্পানি গত ২ বছর ধরে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের (এলপিজি) দামে কোনো পরিবর্তন করেনি। যার কারণে উচ্চ উৎপাদন খরচের কারণে তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। তিনটি পেট্রোলিয়াম কোম্পানির সম্মিলিতভাবে ২০২২-এর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২১,২০১.১৮ কোটি টাকার নেট লোকসান হয়েছে।