বাংলা হান্ট ডেস্ক: ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) নোটবন্দি (Demonetisation)-র ঘোষণা করেছিলেন। যার জেরে তৎকালীন প্রচলিত ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার নোট রাতারাতি বাতিল হয়ে যায়। যদিও, পরবর্তীকালে আবার নতুন করে ৫০০ এবং ২,০০০ টাকার নোটের প্রচলন করা হয়। এদিকে, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল (Viral) হওয়া একটি ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে যে, সরকার ২০২৩ অর্থাৎ আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বাতিল হয়ে যাওয়া ১,০০০ টাকার নোট ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে। এমতাবস্থায়, এই ভিডিও সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই তা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
যদিও, ইতিমধ্যেই পিআইবি এক টুইট বার্তায় এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছে। পাশাপাশি, এই ধরণের ভুয়ো বার্তা ফরোয়ার্ড না করার জন্য সকলকে সতর্কও করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ওই ভাইরাল ভিডিওটিতে দাবি করা হয়েছে, “আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ১,০০০ টাকার নতুন নোট আসতে চলেছে। পাশাপাশি, ২,০০০ টাকার নোট ফেরত দেওয়া হবে ব্যাঙ্কে।”
এছাড়াও, সেটিতে আরও বলা হয় যে, “আপাতত আপনাকে শুধুমাত্র ৫০ হাজার টাকা জমা করার অনুমতি দেওয়া হবে। এই অনুমতি শুধুমাত্র ১০ দিনের জন্য থাকবে। তারপর ২,০০০ টাকার নোটের কোনো মূল্য থাকবে না। তাই আপনার কাছে ২,০০০-এর বেশি নোট রাখবেন না।” যদিও পিআইবি এই মেসেজটিকে সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে জানিয়েছে।
২,০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ: সম্প্রতি, সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের পরে নতুন ২,০০০ টাকার নোট ছাপানোর জন্য কোনো অর্ডার দেওয়া হয়নি। এক কথায়, নতুন ২,০০০ টাকার নোট ছাপানো সম্ভবত বন্ধ করা হয়েছে।
सोशल मीडिया पर वायरल वीडियों में दावा किया जा रहा कि 1 जनवरी से 1 हजार का नया नोट आने वाले हैं और 2 हजार के नोट बैंकों में वापस लौट जाएंगे। #PIBFactCheck
▶️ये दावा फर्जी है।
▶️कृपया ऐसे भ्रामक मैसेज फॉरवर्ड ना करें। pic.twitter.com/rBdY2ZpmM4
— PIB Fact Check (@PIBFactCheck) December 16, 2022
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সরকার ইতিমধ্যেই রাজ্যসভায় জানিয়েছে যে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় ২,৩০,৯৭১ টি জাল নোট চিহ্নিত করা হয়েছিল। সরকারের মতে, জাল নোট এবং আসল নোট শনাক্ত করতে আসল নোটে স্পষ্টভাবে দেখা যাবে এমন সিকিউরিটি ফিচার্স যুক্ত করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী জানিয়েছেন, যে সমস্ত জাল নোট ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে ধরা পড়েছে, সেগুলির মধ্যে ৯০ শতাংশ খুবই নিম্নমানের। উল্লেখ্য যে, RBI-এর ওয়েবসাইটে আসল নোট শনাক্তকরণ সংক্রান্ত সিকিউরিটি ফিচার্স সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া রয়েছে।