বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুকুর সংস্কার করা হচ্ছিল। তাই পুকুর খননের কাজ চলছিল জোর কদমে। তাতেই যা মিলল, দেখেই চক্ষু চড়কগাছ স্থানীয়দের। বাঁকুড়ার (Bankura) জয়পুর ব্লকের রাজশোল গ্রামের ঘটনায় চঞ্চাল্য ছড়ালো এলাকায়। কারণ, পুকুর খননের করতে গিয়ে পাথরের দেব মূর্তি উদ্ধার করলেন খননকারীরা।
মূর্তিটি কমপক্ষে হাজার বছরের পুরাতন বলে দাবি করেছেন, প্রত্ন গবেষকরা। একসময় মল্ল রাজাদের রাজত্বের অংশ ছিল বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের রাজশোল অঞ্চল। দীর্ঘদিন ধরে মল্ল রাজাদের রাজধানী ছিল রাজশোল গ্রামের অদূরে থাকা প্রদ্যুম্নপুর গ্রাম। ওই অঞ্চলে ইতিপূর্বে বহু সংখ্যক পুরাতন মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছিল।
আরোও পড়ুন : আর মাত্র কয়েক দিন! এবার ট্রেন ছুটবে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতু দিয়েই, প্রকাশ্যে নয়া আপডেট
এবার ওই গ্রামেরই ফুলবাঁধ সংস্কার করতে গিয়ে আরও একটি পাথরের মূর্তি উদ্ধার করলেন খননকারীরা। স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক পাল মূর্তি উদ্ধার প্রসঙ্গে বলেন, “আমি রাস্তায় বেরিয়ে যেতে দেখলাম পাঁকের সঙ্গে কিছু জড়িয়েছে। সেটা পরিষ্কার করতেই দেখা গেল একের পর এক মূর্তি বেরিয়ে আসেছে। তবে বিষ্ণ না লক্ষ্মী নারায়ণ, না মনসা বুঝতে পারছি না।”স্থানীয় সূত্রে জানা খবর, ওই ফুলবাঁধ নামের পুকুরটি মজে গিয়েছিল। তাই পুকুরটিকে খনন করে সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়।
পুকুরের মাটি পে লোডার দিয়ে কেটে ফেলা শুরু হয়। তখনই পে লোডারে মাটি কাটার সময় ওই পাথরের মূর্তি উদ্ধার হয়। তবে ওই পাথরের মূর্তিটি দেব নাকি দেবীর মূর্তি তা নিয়ে ধন্দে পড়ে গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে উদ্ধার হওয়া ওই মূর্তিটি আদতে একটি আসল মূর্তির পার্শ্ব মূর্তি হয়ে থাকতে পারে বলে আন্দাজ করছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। প্রত্ন গবেষকরা মনে করছেন, ওই মূর্তি নবম ও দশম শতকে তৈরি হয়ে থাকতে পারে।