বাংলাহান্ট ডেস্ক : একজন বা দুজন নয়, অন্তত নয়জনের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তুলেছিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামী। প্রত্যেককেই চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু, কারোর কপালেই জোটে নি চাকরি। তাই, প্রতারিতরা শেষমেশ পঞ্চায়েত প্রধানেরই বাড়ির একটা অংশে ইঁট গেঁথে নিলেন বলেই অভিযোগ উঠেছে।
উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) স্বরূপনগরের চারঘাট পঞ্চায়েতের কয়েকজন যুবক জানান, ২০১৯ সালে তারা দফায় দফায় প্রায় ৫৩ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছেন চারঘাট পঞ্চায়েতের তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রধান বাসন্তী বিশ্বাস ও তাঁর স্বামী নিখিলরঞ্জনকে। ‘চাকরি দেওয়ার’ নামে এই টাকা নেওয়া হলেও যুবকদের কাউকেই কোন চাকরি দেওয়া হয় নি।
এমনকি, প্রতারিত যুবকদের তরফে একাধিকবার টাকা চাওয়া হলেও টাকা ফেরত মেলেনি। এরপরেই চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি সালিশি সভা ডাকা হয়। সেখানে পঞ্চায়েত প্রধান ও তার স্বামী পাঁচ মাস সময় চেয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, টাকা ফেরত দিতে না পারলে তাঁদের বাড়ির একাংশ এবং নিজেদের ছয় শতক জমি মহম্মদ মাজহার-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীর নামে ছেড়ে দেবেন বলে তারা লিখেও দেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ‘লিখিত চুক্তি’ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুরে মহম্মদ মাজহার আলি ও কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী মিলে এসে জমি-বাড়ির একটি অংশে ইট দিয়ে ঘিরে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। সেইসময় বাড়িতে উপস্থিত কয়েকজন মহিলা মাজহার আলির কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও লাভ কিছুই হয় নি। প্রধানের স্বামী ইতিমধ্যেই এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়েছেন বলেই সূত্রের খবর।
জমি-বাড়ির একাংশ দখল নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মাজহারসহ একাধিক চাকরিপ্রার্থীরা। তিনি বলেন, ‘‘চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছিলেন প্রধান আর তাঁর স্বামী। টাকা ফেরত দিতে না পারলে জমি-বাড়ির কিছু অংশ লিখে দিয়েছিলেন। তাই আমরা জমির একটি অংশে পাঁচিল তুলেছি।’’ এদিকে, পঞ্চায়েত প্রধান বা তাঁর স্বামী লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।