বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েক বছরে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে জ্বালানির দাম। সাথে রয়েছে কর্মী ঘাটতি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। কয়েক বছর ধরে ভাড়া বৃদ্ধি না হওয়ায় আয় দাঁড়িয়েছে তলানিতে। এসব কিছু নিয়ে করুণ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের সরকারি বাসগুলির। ঠিকঠাক লাভ না হওয়ায় ক্রমাগত বাস কমছে রুটগুলি থেকে।
এমন অবস্থায় রাজ্য পরিবহন নিগম (State Transport Department) চাইছে কিছু বাস বেসরকারি হাতে তুলে দিতে। পরিবহন দপ্তর সেই কাজে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। পরিবহন দপ্তর সূত্রে খবর, আপাতত ১৯ টি রুটের ৪০ টি সরকারি বাসকে বেছে নেওয়া হয়েছে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। এগুলির মধ্যে রয়েছে ট্রাম কোম্পানি, সিএসটিসি এবং ডব্লুউবিটিসির বাস।
আরোও পড়ুন : চমৎকার প্ল্যান LIC’র! টাকা দেওয়ার পরের বছর থেকেই হাতে পাবেন পেনশন, কপাল খুলবে আপনারও
ইতিমধ্যেই ডাকা হয়েছে টেন্ডার। বাসগুলির ব্যাপারে কিছু সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে। মোট ৮টি সংস্থা এগিয়ে এসেছে এই ব্যাপারে। রাজ্য সরকার এই ১৯ টি রুটের বাসগুলিকে চাইছে বেসরকারীকরণ করতে।প্রাথমিকভাবে সাফল্য মিললে মনে করা হচ্ছে আগামী দিনে বেসরকারিকরণের পথ আরো প্রশস্ত হবে রাজ্য পরিবহন নিগমের ক্ষেত্রে।
আরোও পড়ুন : টাকার অভাব? বিক্রি হতে চলেছে পাকিস্তানের সবথেকে দামি বাড়ি! কত দাম উঠল জেনে অবাক হবেন
তবে বেসরকারীকরণ করার ক্ষেত্রে যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে কিছু শর্ত রেখেছে সরকার। বলা হয়েছে ৩০ দিনের মধ্যে অন্তত ২৬ দিন বাসগুলিকে রাস্তায় নামতেই হবে। যদি তার কম দিন রাস্তায় বাস নামে তাহলে দৈনিক ৫০০ টাকা হিসেবে জরিমানা করা হবে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাকেই চালক, কন্ডাক্টর এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ ও তেলের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যদিকে কিছু শর্ত থাকবে সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে।
যে রুটে এই বাসগুলি চলবে সেই রুটে অন্য সরকারি বাস চলতে পারবে না। নিকটবর্তী সরকারি ডিপোতে রাখতে হবে ওই বাসগুলি। হস্তান্তরের আগে সংস্থাকে সরকারকে লাইসেন্স ফি বাবদ দিতে হবে ৩০ হাজার টাকা। প্রতিমাসে রুট পিছু নির্দিষ্ট করে দেওয়া টাকা তুলে দিতে হবে সরকারকে। বাসগুলি বেসরকারি হাতে গেলেও জানা যাচ্ছে সেক্ষেত্রে অপরিবর্তিত থাকবে ভাড়া।