বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: মাঝে বাকি রয়েছে আর মাত্র তিনটে দিন। তারপরেই কাতারের মাটিতে আরম্ভ হতে চলেছে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ। খুব স্বাভাবিকভাবেই গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’-এর আরম্ভ হওয়ার। গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা এখন নিজ নিজ প্রিয় দলের হয়ে গলা ফাটানোর জন্য প্রস্তুত।
ইতিমধ্যেই অংশগ্রহণকারী ৩২ টি দলের প্রত্যেকটি সদস্য একত্রিত হয়ে গিয়েছেন নিজেদের প্রস্তুতি শিবিরে। মরশুমের মাঝপথে অনুষ্ঠিত হওয়ায় এই বিশ্বকাপের আগে বেশি সময় পাননি তারা এক সঙ্গে অনুশীলন করার। কোচেদের সাথে বসে শেষমুহূর্তের পরিকল্পনা ঝালিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আলাদা আলাদা ক্লাবে খেলা সতীর্থদের সঙ্গে সঠিক বোঝাপড়া গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অনুশীলন সেরে রাখছেন তারা।
ইতিমধ্যে বেশ কিছু দেশের বিশাল সংখ্যক সমর্থকরা কাতারের মাটিতে পৌঁছে গিয়েছেন। ব্রাজিল, স্পেন, ইরানের সমর্থকদের কাতারের মাটিতে মিছিল করে নিজেদের গন্তব্যের দিকে এগোতে দেখা গিয়েছে। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে না পারলেও উপমহাদেশের বেশ কিছু ফুটবলপ্রেমীও কাতারে উপস্থিত হয়েছেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে সাধারণ খাবার জলের গ্লাসের দাম দেখে তাদের চোখ কপালে উঠেছে।
কাতার বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামে খেলা চলাকালে যদি আপনি এক গ্লাস জল কিনে খেতে চান তাহলে আপনাকে খরচ করতে হবে ১০ কাতারি রিয়েল। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় আপনাকে কাতারের স্টেডিয়ামে এক গ্লাস জল খেতে খরচ করতে হবে ২২৩ টাকার একটু বেশি। এই অভাবনীয় খবর শুনে চোখ কপালে উঠেছে অনেকেরই।
টুর্নামেন্ট শুরুর অনেক আগে থেকেই কাতারের সরকার ঘোষণা করে দিয়েছে যে কাতারের মাটিতে প্রকাশ্যে মদ্যপান একেবারেই নিষিদ্ধ। সেই নিয়ে আমি বজায় থাকছে বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম গুলিতেও। আপনি যদি বিয়ার খেতে চান তাহলে তার জন্য আপনাকে স্টেডিয়ামের কেবিন ভাড়া করতে হবে। খোলা স্টেডিয়ামে বসে আপনি মদ্যপান করতে পারবেন না। কেবিনে বসেও আপনি যে অঢেল মদ গলায় ঢালতে পারবেন এমনটা হচ্ছে না। আপনাকে সর্বোচ্চ চার বোতল সূরা সরবরাহ করা হবে এবং ম্যাচ শুরুর ৪০ মিনিট আগে মদ বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হবে। মদ খেয়ে আপনি যাতে বেসামাল না হয়ে পড়েন সেই জন্যই এই ব্যবস্থা। কাতার বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করা স্টেডিয়ামগুলিতে এই পানীয়র দামও থাকছে অত্যন্ত চড়া। সাধারণ মানের এক গ্লাস বিয়ার পান করার জন্যই আপনাকে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় হাজার টাকা খরচা করতে হবে।