Bangla Hunt Desk: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ইউনিফর্ম সিভিল কোড আমাদের ঘোষণা পত্রের অংশ, দেশের সমস্ত নাগরিকদের জন্য একটাই আইন দরকার। এর সাথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ দেশ বিরোধী গতিবিধি নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, দেশ বিরোধী স্লোগান ওনার দল কখনই স্বীকার করবে না। উনি বলেন, যারা দেশের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, আমাদের সরকার তাঁদের জেলে ঢুকিয়েছে, কিন্তু আইনি পদক্ষেপের জন্য দিল্লী সরকারের কাছে মঞ্জুরি চাইলে, তাঁরা দিতে রাজি হয়নি।
বাক স্বাধীনতা নিয়ে অমিত শাহ বলেন, দেশের বাক স্বাধীনতা অবশ্যই থাকা দরকার, আপনি সরকারের সমালোচনা করতে পারেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আলোচনা করতে পারেন, আমাদের দলের সবার সমালোচনা করতে পারেন, আমাদের এই নিয়ে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু যদি কেউ দেশকে টুকড়ো করার কথা বলে, তাঁকে জেলে অবশ্যই যেতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, আপনি আমাকে গালি দিতে পারেন, কিন্তু এই দেশকে ভাঙার স্বাধীনতা আপনার কাছে নেই।
#ShahOnRepublic | यूनिफॉर्म सिविल कोड हमारे घोषणापत्र का हिस्सा है, सभी नागरिकों के लिए एक ही कानून होना चाहिए: गृह मंत्री अमित शाह
देखें रिपब्लिक भारत पर #LIVE :https://t.co/G945HvRmSx pic.twitter.com/z5SAMrxHEF
— रिपब्लिक भारत (@Republic_Bharat) October 15, 2019
কংগ্রেসকে আক্রমণ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, অনেক ঐতিহাসিক ভুল আছে, যেগুলো কংগ্রেস পার্টি কখনই ভুলাতে পারবেনা। অমিত শাহ পণ্ডিত জওহর লাল নেহেরুর কংগ্রেসের উপর আক্রমণ করে ভারত আর পাকিস্তানের যুদ্ধের উদাহরণ দিয়ে বলেন, যখন আমাদের দেশ যুদ্ধ জেতার শেষ মুহূর্তে ছিল, যখন আমাদের দেশের জওয়ানেরা নিজেদের প্রাণ বিপন্ন করে বড়সড় জয় হাসিল করতে যাচ্ছিল, তখন যুদ্ধ থামিয়ে রাষ্ট্র সঙ্ঘে যাওয়ার কি দরকার ছিল?
#ShahOnRepublic | 'भारत तेरे टुकड़े होंगे'… राहुल और केजरीवाल ने इसे अभिव्यक्ति की आजादी कहा लेकिन हमने कहा हमें गाली दे दीजिए लेकिन देश के टुकड़ें की बात करने वालों को जेल जाना होगा: अमित शाह
देखें रिपब्लिक भारत पर #LIVE :https://t.co/G945HvRmSx pic.twitter.com/815jWF2XvB
— रिपब्लिक भारत (@Republic_Bharat) October 15, 2019
আপনাদের জানিয়ে রাখি, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম যুদ্ধে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহর লাল নেহেরু যুদ্ধ বিরাম ঘোষণা করে এই ইস্যুকে সংযুক্ত রাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। আর তখনই পাকিস্তান ভারতের কাশ্মীরের এক অংশ দখল করে নেয়। আজ সেই অংশকে পাক অধিকৃত কাশ্মীর বলা হয়। ১৯৪৮ সালের যুদ্ধে ভারতের জয়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও কাশ্মীরের একটি অংশ হারিয়ে ফেলে। আর তারপর থেকে কাশ্মীর সমস্যা ভারতের প্রধান সমস্যার মধ্যে একটি হয়ে দাঁড়ায়। অনেক ইতিহাসবিদ কাশ্মীর সমস্যার জন্য ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত নেহেরুকে দায়ি করেছেন।