অযোধ্যা মামলার রায় আসার সাথে সাথে উত্তরপ্রদেশে যোগী প্রশাসন রাম রাজ্য গড়ার কাজে নেমে পড়েছে। রাম রাজ্য পরিকল্পনার অর্থ হলো শান্তি, সমৃদ্ধি, ন্যায় শৃঙ্খলার প্রতিষ্ঠা করা। ভগবান শ্রী রামের মন্দির গড়ার জন্য আদালতের নির্দেশ সামনে চলে এসেছে। এখন রাজ্য সরকার উত্তরপ্রদেশকে অপরাধ থেকে মুক্ত করার প্রক্রিয়ায় নেমে পড়েছে।
উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বুধবার গভীর রাত থেকে লখনৌ পুলিশ “অপারেশন মিড নাইট” অভিযান পরিচালনা করেছে। এই সময়, প্রবীণ পুলিশ সুপার কালানিধি নৈথানী নিজের হাতেই নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন। দুপুর ১২.০০ টা থেকে দুপুর ২.০০ অবধি লখনউয়ের বিভিন্ন থানা এলাকায় ইতিমধ্যে চিহ্নিত প্রায় ১০৩ টি জায়গায় এই অভিযান চালানো হয়েছিল।
পলিশের এই অভিযান ভিড় ভাড় এলাকা, সরাই, ধাবা, ধর্মশালা, রেলস্টেশন, বাস স্টপ, স্ট্যান্ড এবং নির্জন জায়গায় চালানো হয়েছিল। এসময় সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহন চেক করা হয়। প্রায় ১৮৮৭ এর কাছাকাছি লোককে চেকিং করা হয়েছিল এবং তাদের যানবাহনে তল্লাশি করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় কয়েক ডজন লোককে হেফাজতে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। ৩০ টি গাড়ির বিরুদ্ধে এমভি আইনের কার্যক্রম এবং বিশ হাজার টাকা তলব ফি নেওয়া হয়।
উত্তরপ্রদেশ সরকার অপরাধ নিয়ে নানা সমীক্ষা চালাচ্ছে। যার মধ্যে অযোধ্যা মামলার রায় আসার আগে যেভাবে সুরক্ষা ব্যাবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল তাতে বেশ ভালো রিপোর্ট সামনে এসেছে। এখন সেই ভিত্তিতে “অপারেশন মিড নাইট” অভিযান শুরু করেছে। উত্তরপ্রদেশে শাসন ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য সবথেকে বেশি গুরুত্ব পুলিশের।
তাই সরকার পুলিশকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে রাম রাজত্ব স্থাপনের জন্য অগ্রসর হচ্ছে। যদিও সরকারের পদক্ষেপে বিরোধী পক্ষের নেতারা আক্রোশ প্ৰকাশ করেছেন। তাদের দাবি সরকার শুধুমাত্র এক শ্রেণীর মানুষকে টার্গেট করছে। অন্যদিকে সরকার শুধুমাত্র অপরাধীদের উপর এনকাউন্টার অপারেশন বা গ্রেফতার অভিযান প্রয়োগ করেছে, যেখানে সম্প্রদায়, শ্রেণীর কোনো স্থান নেই।