বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তার বিরুদ্ধে উঠেছে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। তবে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নাকি তদন্তই করতে পারবে না পুলিশ। এদিন রাজভবন তরফে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, রাজ্যপালের (Governor C V Ananda Bose) বিরুদ্ধে তদন্ত করার এক্তিয়ার পুলিশের নেই। শুধু তাই নয়, সংবিধানের প্রসঙ্গ তুলে রাজভবনের কর্মীদের এই ঘটনা প্রসঙ্গে কোথাও বিবৃতি দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছেন রাজ্যপাল।
এদিন রাজভবনের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি বিবৃতি জারি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস লিখেছেন, ”সংবিধানের ৩৬১ (২), (৩) ধারা অনুযায়ী, কোনও রাজ্যপাল নিজের পদে থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে দেশের কোনও আদালতে ফৌজদারি তদন্তপ্রক্রিয়া, তাকে গ্রেফতার করা বা জেলে পাঠানোও এই কোনও কিছুরই এক্তিয়ার নেই পুলিশের। ফলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যক্রম এগোতে পারবে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার।”
আগেই জানা গিয়েছিল, অভিযোগের ভিত্তিতে ৮ সদস্যের স্পেশাল এনকোয়ারি টিম বা সেট গঠন করে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে তদন্ত। এই প্রসঙ্গে এদিন বিবৃতিতে লেখা হয়, ‘ সংবিধানের রক্ষাকবচ থাকায় পুলিশের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্তের এক্তিয়ার নেই। তাদের এই তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট কোনও আদালতে গৃহীত হতে পারে না। কারণ তা সংবিধানের অবমাননা। সংবিধানে পুলিশকে এ বিষয়ে কোনও এফআইআর করে তদন্ত করতেই নিষেধ করা হয়েছে।”
খবর মিলেছিল, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পুলিশ রাজভবনের কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে। এমনকি, রাজভবনের সিসি ক্যামেরার টিভি ফুটেজও চেয়ে পাঠিয়েছে পুলিশ। এই নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাজভবনের স্থায়ী, অস্থায়ী, আংশিক সময়ের কর্মীরা কেউ অনলাইন বা অফলাইন মাধ্যমে, ফোনে বা অন্য কোনও ভাবে এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে পারবেন না।’
https://x.com/BengalGovernor/status/1787035597728514417
আরও পড়ুন: এই প্রথম অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দায়ের হল FIR, কীসের জেরে বিপাকে প্রাক্তন বিচারপতি?
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী স্টাফ। গত বৃহস্পতিবার রাতে হেয়ার স্ট্রিট থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। তার সঙ্গে কবে কী হয়েছে, সেই বিষয়ে পুলিশকে তথ্য দিয়েছেন তিনি। রাজভবনের ওই মহিলা কর্মীর অভিযোগ, তার দুবার শ্লীলতাহানি করেন রাজ্যপাল সিভি বোস। এরপরই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগের তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে রাজ্যপালের দাবি, এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক যোগসাজশ রয়েছে।