বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর অক্টোবর মাসে ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (FATF) বৈঠকে যখন পাকিস্তানকে (Pakistan) ধূসর তালিকায় রাখা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল, তখন পাকিস্তানকে দুটি দেশ সমর্থন করেছিল। প্রথম দেশ ছিল চীন, দ্বিতীয় দেশটি হল তুর্কি বা তুরস্ক (Turkey)। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে লাগাতার ভারত (India) বিরোধী মন্তব্য করা তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রজব তাইয়্যেপ এরদোগান (Recep Tayyip Erdoğan) এও বলেছিলেন যে, তিনি যে করেই হোক পাকিস্তানকে গ্রে লিস্ট থেকে বের করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
এখন একদিকে যখন তুর্কির প্রেসিডেন্টের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, তখন আরেকদিকে পাকিস্তানের হয়ে ওকালতি করা তুরস্কই এখন সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করার অভিযোগে বিদ্ধ হয়ছে। FATF-র অক্টোবর মাসে হওয়া তিন দিনের বৈঠকের পর ঘোষণা করা হয়েছে যে, এবার পাকিস্তানের সঙ্গে তুরস্কও তাঁদের ধূসর তালিকায় থাকবে।
সন্ত্রাসবাদীদের করা আর্থিক সাহায্যের উৎসকে নিষিদ্ধ করা সংস্থা FATF প্রথমবার ২০১৮ সালের জুন মাসে পাকিস্তানকে গ্রে লিস্টে ফেলেছিল। এবার সংস্থার সাম্প্রতিক বৈঠকে পাকিস্তানের সঙ্গে আরও ২২ দেশকে সন্ত্রাসবাদীদের মদত করার জন্য ধূসর তালিকায় ফেলা হয়েছে। আর নতুন এই তালিকায় মায়ানমার ও তুরস্কের নামও রয়েছে।
FATF-র সভাপতি প্লিয়ার একটি সাংবাদিক বৈঠকে তুরস্কের নেতৃত্বকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। উনি বলেন, তুরস্কের উচিৎ সন্ত্রাসবাদীদের কাছে পৌঁছান আর্থিক সাহায্য নিয়ে গম্ভীর ভাবে চিন্তা করা। বিশেষ করে তাঁদের ব্যাংকিং আর রিয়েল এস্টেট এবং সোনা আর বহুমূল্য রত্নের ব্যবসায়ীদের দিকে নজর দেওয়া উচিৎ। প্লিয়ার বলেন, তুর্কিকে এটা দেখাতে হবে যে তাঁরা আর্থিক তছরুপ মামলায় কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে আর সন্ত্রাসবাদীদের কাছে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিচ্ছে। বিশেষ করে আইএসআই আর আল-কায়দার সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি সংগঠনের মামলায় তাঁদের বেশি করে নজর রাখতে হবে।
FATF-র বয়ানে বলা হয়েছে যে, তুর্কি সন্ত্রাসবাদ রোখার আর FATF কে মজবুত করার জন্য কিছু উচ্চস্তরীয় রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা প্রকাশ করেছে। আর এই কারণে তুর্কিকে FATF-র গ্রে লিস্ট থেকে বের হওয়ার জন্য কয়েকটি বিশেষ কাজ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এই কাজে সফল হলেই তাঁদের ধূসর তালিকা থেকে বের করা হবে।