বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানে চলছে জোর করে ধর্মান্তরকরণ। কিন্তু ভারত পৃথিবীর গণতান্ত্রিক ধ্বজা উড়িয়ে দিয়েছে। সেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিশ্চিন্তে। কিন্তু গত কিছুদিন হলো নাগরিকপঞ্জি আইন নিয়ে যেভাবে পথে নেমেছে কিছু সম্প্রদায় ও কিছু গোষ্ঠী তাতে মনে হচ্ছে ভারতের অবস্থা তথৈবচ। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্থানে নজর ঘোরালে দেখা যাবে সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দুরা কিভাবে দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করে দিন কাটাচ্ছে। তারই প্রমাণ মিলল এই ঘটনায়।
গত বুধবার পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের জাকোবাবাদের বাসিন্দা আরোক কুমারি নামে এক হিন্দু তরুণীকে জোর করে তুলে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। বেশ কয়েকদিন নিখোঁজ থাকার পরে আরোক কুমারির এক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই তরুণী দাবি করছেন, ‘স্বেচ্ছায় মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে আলি রাজা নামে এক যুবককে বিয়ে করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যরা অশান্তি করতে পারেন এই আশঙ্কায় জেলা আদালতে মামলাও দায়ের করেছেন।’
যদিও তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ‘জোর করে আরোক কুমারিকে দিয়ে ওই কথা বলিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ আরোকের নিরাপত্তার জন্য পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে দাবিও জানিয়েছেন তাঁর পরিজনরা। এবার প্রশ্ন হচ্ছে এই খবর সম্প্রচারিত হবার পর থেকেই কি পাকিস্তান সরকার তার দায় স্বীকার করবে? ও পাকিস্তান কি লজ্জায় ভারতের কাছে তাদের ভুল স্বীকার করবে!
কাশ্মীর বিষয়ে তারা তো দীর্ঘদিন যাবৎ গলা ফাটিয়ে আসছে ভারতের সংখ্যালঘু দের জন্য তাদের ঘুম হচ্ছে না। চিরকাল অন্যদিকে চীনে উইঘুর সম্প্রদায়ের প্রতি অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ ইমরান খান। তারা এখন কি করবে? নিজের দেশ বাঁচাতে হবে তা নিয়েই ব্যস্ত।