বাংলাহান্ট ডেস্ক : সংঘর্ষ বিরতি হলেও ভারত-পাকিস্তান সংঘাত রয়েছে অব্যাহত। শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ভারত এবং পাকিস্তান (Pakistan) সংঘর্ষ বিরতির জন্য রাজি হয়েছে। তারপরেই ভারতীয় বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি ঘোষণা করেন, পাকিস্তানের DGMO ভারতীয় DGMO কে ফোন করে প্রথম সংঘর্ষ বিরতির কথা বলেন। তাতেই রাজি হয় ভারত। কিন্তু এবার এই দাবির বিরোধিতা করল পাকিস্তান। সূত্রের খবর, পাকিস্তান (Pakistan) সেনার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরি দাবি করেছেন, পাকিস্তান নাকি আগে যুদ্ধ বিরতির কথা বলেনি।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কথা অস্বীকার পাকিস্তানের (Pakistan)
রবিবার ভারতের মতোই এক সাংবাদিক বৈঠক করে পাক (Pakistan) সেনাবাহিনী। সেখানে পাক সেনার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরির দাবি করেছেন, “লিখে রাখুন, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ করেনি”! তবে তারপরেই নাকি তিনি বলেন, দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে কোনো যুদ্ধের জায়গা থাকতে পারে না। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, পাক সেনাবাহিনী নাকি ‘তীব্রতা নিয়ন্ত্রণ করে’ জবাব দিয়েছে।
কী দাবি করল পাকিস্তান: পাক (Pakistan) সেনাবাহিনীর তরফে বলা হয়েছে, গত ৬-৭ মে রাতে ভারতের হানায় নাকি প্রাণ গিয়েছে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের। কিন্তু ভারত প্রথম থেকেই বারেবারে স্পষ্ট করে দিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি গুলি। আর তাতে ভারত সফল। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ৯ টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে প্রায় ১০০ র ও বেশি জঙ্গি নিকেশ হয়েছে অপারেশন সিঁদুর-এ।
প্রমাণ ছাড়াই দাবি পাকিস্তানের: এদিকে বৈঠকে পাক (Pakistan) সেনার মুখপাত্র দাবি করেছেন, ভারতের সিরসা, ভুজ, আদমপুর, ভাতিন্ডা, অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মুর বায়ু সেনাঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। সেগুলির নাকি প্রচুর ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। এমনকি ভারতের ছোড়া ব্রহ্মসও নাকি ধ্বংস করে দিয়েছে পাকিস্তান।
আরো পড়ুন : শোনা যায়নি গুলির শব্দ, হয়নি ব্ল্যাক আউটও! সংঘর্ষ বিরতির পর রবিবার রাতে কেমন ছিল কাশ্মীরের পরিস্থিতি?
যদিও এসবের কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি পাকিস্তানের সেনা। অন্যদিকে প্রথম থেকেই প্রতিটি দাবির সপক্ষে প্রমাণ দিয়ে দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। একই সঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে, পাকিস্তান ফের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করলেই মিলবে কড়া জবাব।