বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের প্রতিবেশী দেশটির প্রাধানমন্ত্রী পরিবর্তন হয়েছে কিছুদিন আগেই। কিন্তু নতুন সরকারও হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে খরচ সামাল দিতে। দেশটির নাম পাকিস্তান। ইমরান খান সরে গেছেন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। শাহবাজ শরীফ বসেছেন পাকিস্তানের মসনদে। কিন্তু পাকিস্তান আর্থিক অবস্থার কোনও সুরাহা দেখাতে পারেননি তিনিও। তাই বাধ্য হয়েই পিওকে উন্নয়নের রাশ টানা হয়েছে।বাজেট কমছে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের।
সূত্রের খবর, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বাজেট থেকে ২.৫ বিলিয়ন টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানের মধ্যেই। ইউকেপিএনপি-র অধ্যক্ষ শৌকত আলি কাশ্মীরি বলেন কাশ্মীরের অবস্থা খুবই খারাপ। সেখানে টাকা কমিয়ে দেওয়া অমানবিক। প্রসঙ্গত শৌকত আলি কাশ্মীরের একজন নির্বাসিত নেতা। আজ তিনি ট্যুইট করে বলেন, ‘পাকিস্তান সরকার উন্ময়নের খরচ থেকে ২.৫ বিলিয়ন এবং সাধারণ খরচ থেকে ৭ বিলিয়ন টাকা কমানো হয়েছে।
পিওকে-র সরকার এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সরকার তরফ থেকে বলা হয় শরীফ সরকার ‘লাইন অফ কন্ট্রোল প্যাকেজ’-কেও আটকে দিয়েছে। কাশ্মীরি বলেন, পাকিস্তানের অবস্থা খুবই খারাপ। এক্ষুনি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এই অবস্থার মোকাবিলা করা দরকার। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতারা চারিদিকে বলে বেড়ান পিওকের স্বাক্ষরতার হার অনেক বেশি। কিন্তু বাস্তবটা সম্পুর্ন আলাদা।
পিওকের বিদ্যালয়গুলির অবস্থাও যথেষ্ট খারাপ বলেই জানান শৌকত আলি। তিনি বলেন বিদ্যালয়গুলিতে ভালো শ্রেণীকক্ষের কোনও ব্যবস্থা নেই। ছাত্রছাত্রীরা খোলা আকাশের নিচে বসে পড়াশোনা করতে বাধ্য হয়। বিদ্যালয়গুলিতে না আছে শৌচাগারের ব্যবস্থা না আছে পানীয় জলের সুবিধা। এই অবস্থায় উন্নয়নে খরচ কমানো রীতিমতো অমানবিক বলেই মনে করেন নির্বাসিত এই নেতা।