বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গোটা বিশ্বের নজর এখন আরব আমিরশাহীর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বড় টুর্নামেন্ট বলতে মূলত যে টুর্নামেন্টের কথা মনে পড়বে ভারতের তা হল ওয়ানডে বিশ্বকাপ। কারণ ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ আয়োজিত হতে চলেছে ভারতেই। তার আগে অবশ্য রয়েছে এশিয়া কাপও। এবার সেই এশিয়া কাপ নিয়েই বড় সিদ্ধান্ত নিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বা এসিসি। কার্যত করোনার কারণে গত বছর এশিয়া কাপ বাতিল হয়ে গিয়েছিল।
তবে এবার জানা গিয়েছে আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগেই শুরু হবে এশিয়া জয়ের লড়াই। এবার এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার দায়িত্ব পাকিস্তানের হাতে তুলে দিলো এসিসি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান জয় শাহ এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের বোর্ড প্রধান রামিজ রাজাও। আয়োজক পাকিস্তান জানিয়েছে, কোন নিউট্রাল ভেন্যু নয় নিজের দেশেই এশিয়া কাপ আয়োজন করতে চায় তারা। তাদের এই প্রস্তাবেও সম্মতি দিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল।
জানা গিয়েছে, ঠিক কবে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে তার সময়সূচী এখনও ঘোষিত হয়নি। তবে আইপিএল এবং ২০২৩ বিশ্বকাপের মধ্যবর্তী সময়ে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করবে পাকিস্তান। গতবার এই টুর্নামেন্ট খেলা হয়েছিল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। তবে এবার আসন্ন বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ওয়ানডে ফরম্যাটকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। অর্থাৎ ফের একবার ৫০ ওভারের লড়াইয়ে নামবে বাবর, বিরাট, শাকিব এবং রাশিদরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে খেলা হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। কার্যত করোনার কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারতে আয়োজন করতে পারেনি বিসিসিআই। যার ফলে করোনা পরবর্তী ক্ষেত্রে এটিই প্রথম আইসিসি টুর্নামেন্ট যা ভারতে আয়োজিত হতে চলেছে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই এই বিশ্বকাপকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিসিসিআই। অন্যদিকে পাকিস্তানের জন্যও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এই এশিয়া কাপ। কারণ এই মুহূর্তে পাকিস্তান ক্রিকেট বেশ খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলেছে। অর্থনৈতিক টানাটানিও রয়েছে যথেষ্ট। এই এশিয়া কাপ এবার তাদের কিছুটা যে অক্সিজেন দেবে তা বলাই বাহুল্য।