বাংলা হান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাম্প্রতিক চিন সফরের মূল লক্ষ্য ছিল তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বাঁচানো এবং চিনের কাছ থেকে আরও অর্থ নেওয়া। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ফ্রন্টে আটকে থাকা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বেইজিং অলিম্পিক গেমস ২০২২-এর সময় বেইজিংয়ে গিয়েছিলেন। পাশাপাশি, এই সফর তাঁকে একাধিক সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য নতুন নতুন বিকল্পের খোঁজ দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যদিও, পলিসি রিসার্চ গ্রুপ অনুযায়ী, অতীতে প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক ফ্রন্টে অনেক সমস্যায় পড়েছেন। আইএসআই-এর প্রধান বাছাই ইস্যুতে তাঁর এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে শুধু কোন্দলই হয়নি, পাশাপাশি, এই ইস্যুতে তাঁর মন্ত্রিসভাও বিভক্ত হয়ে পড়ে। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এর বক্তব্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই এর প্রমাণ সবার সামনে এসে পৌঁছেছে।
এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি এবং আফগানিস্তানের সাথে ডুরান্ড সীমান্তে তালিবানদের সাথে তাঁর ঝামেলাও বেড়ে গিয়েছে। এ ছাড়া বিরোধীরা প্রতিনিয়ত অনেক ইস্যুতে সরকারকে ঘেরাও করার পাশাপাশি তাঁদের মূল টার্গেট হচ্ছেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
এমতাবস্থায়, একদিকে ইমরান খান দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অস্থির, অন্যদিকে দেশের ক্রমবর্ধমান আর্থিক অবস্থাও ক্রমশ তাঁর ঝামেলা বাড়াচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এই সব ইস্যুতে লড়াই করা ইমরান খানের জন্য খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও, দেশে ক্রমাগত মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণের কারণেও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বেকারত্বও বাড়ছে এবং বৈদেশিক ভান্ডারও ক্রমাগত কমছে। গোয়াদর ও বেলুচিস্তানের বিক্ষোভ ইতিমধ্যেই ইমরান খানের অস্বস্তি অনেকাংশেই বাড়িয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে, গত বৃহস্পতিবার এক জনসভায় ইমরান খান নিজেই স্বীকার করেছেন যে, তিনি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আগে জনগণের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পূরণ করতে পারেননি। তবে এর দায় তিনি চাপিয়েছেন দেশের ব্যবস্থার ওপর।
ইমরান বলেন, তিনি প্রথমে বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে বদলাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনি বুঝতে পারেন যে, তাঁর দেশের ব্যবস্থা এটা সহ্য করতে পারবে না। এই প্রসঙ্গে “Dawn” পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ইমরান জানিয়েছেন সরকার এবং মন্ত্রীদের ফলাফল দেখার কোন ইচ্ছা নেই তাঁর। পাশাপাশি, পাকিস্তানে সরকার ও জনগণের সাথে দেশের স্বার্থের কোনো মিল নেই বলেও জানান পাক প্রধানমন্ত্রী।