ফায়ার নয়, ফ্লাওয়ার প্রমাণিত হল চীনের থেকে কেনা পাকিস্তানের যুদ্ধ ট্যাঙ্ক! বেরোচ্ছে না গুলি

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অস্ত্রের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল থাকা পাকিস্তানের এখন বিপাকে পড়েছে। সম্প্রতি চীন থেকে পাকিস্তানের কেনা ব্যাটল ট্যাংক ও আর্টিলারি বন্দুক অকেজো প্রমাণিত হয়েছে। ডেলিভারির পর ট্যাংক ও বন্দুক পরীক্ষায় ব্যর্থ হয় এবং সেগুলো গুলি চালাতে ব্যর্থ হয়। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীল পাকিস্তান গত কয়েক বছর ধরে চীনের দিকে ঝুঁকেছে, আর এতে তারা বহুবার ক্ষতির মুখেও পড়েছে।

ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে অনুযায়ী, পরীক্ষণে ব্যর্থ হওয়ার পর চীনের নর্থ ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন আপাতত বন্দুক সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া যুদ্ধ ট্যাংকের উৎপাদনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেন তারা ব্যর্থ হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাকিস্তানের উদ্বেগের বিষয় যেই ট্যাঙ্ক ও বন্দুক ট্রায়ালেই ব্যর্থ হয়েছে, ভবিষ্যতে সেগুলো কীভাবে কাজ করবে।

অস্ত্রের ভাণ্ডার বাড়ানোর জন্য পাকিস্তান সম্প্রতি চীন থেকে ৮টি আর্টিলারি বন্দুক কিনেছিল। কিন্তু পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে যখন সেগুলোর পরীক্ষণ করা হয়, তখন সেই অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে কিছুতেই গুলি চালানো যায়নি। পরীক্ষায় অস্ত্রের ব্যর্থতার বিষয়ে পাকিস্তান চীনা কোম্পানির কাছে অভিযোগ করেছিল, তাই এখন এটি কীভাবে ঘটল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এর আগে পাকিস্তান আমেরিকার কাছ থেকে বেশির ভাগ অস্ত্র কিনলেও গত কয়েক বছরে চীনের ওপর নির্ভর করে রয়েছে তারা। পাকিস্তান চীনের থেকে ২০৩ এমএম-র  আর্টিলারি বন্দুক অর্ডার দিয়েছিল। প্রথম কিস্তিতে আটটি বন্দুক সরবরাহ করা হয়েছিল, কিন্তু সেগুলো সব বিকল হয়ে যায় একটিও গুলি চালাতে পারেনি।

অস্ত্রের ভাণ্ডার বাড়ানোর জন্য পাকিস্তান সম্প্রতি চীন থেকে ৮টি আর্টিলারি বন্দুক কিনেছে। কিন্তু পাকিস্তানের সোনমিয়ানিতে যখন তাদের বিচার করা হয়, তখন তারা কিছুতেই গুলি চালাতে পারেনি। পরীক্ষায় অস্ত্রের ব্যর্থতার বিষয়ে পাকিস্তান চীনা কোম্পানির কাছে অভিযোগ করেছিল, তাই এখন এটি কীভাবে ঘটল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আগে পাকিস্তান আমেরিকার কাছ থেকে বেশির ভাগ অস্ত্র কিনলেও গত কয়েক বছরে চীনের ওপর নির্ভরতা বেড়েছে। এর আওতায় চীনকে ২০৩ মিমি আর্টিলারি বন্দুক সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান। প্রাথমিক ব্যাচে আটটি বন্দুক সরবরাহ করা হয়েছিল, কিন্তু তারা জ্যাম হয়ে গিয়েছিল এবং গুলি চালাতে পারেনি।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা ছিল যে, যদি সেই সামরিক সরঞ্জামের পারফরম্যান্স ভালো হয়, তাহলে চীনকে বড় অর্ডার দেওয়া হবে! কিন্তু বিকল সামরিক সরঞ্জাম তাদের হতাশ করেছে। গত কয়েক বছরে পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহে শীর্ষে উঠে এসেছে চীন। দুই নম্বরে রয়েছে তুরস্ক। এসব অস্ত্রের আগেও চীন থেকে কেনা VT 4 যুদ্ধ ট্যাংকও পাকিস্তানে পরীক্ষণে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে পাকিস্তানের অভিযোগে ৪৪টি নতুন ট্যাঙ্ক সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারিগরি ত্রুটি সংশোধনের পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর