জঙ্গলমহলে কুড়মি দাপট! চারিদিকে ‘জয় গরাম’, এজেন্টই দিতে পারল না তৃণমূল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জঙ্গলমহলের (Jungle Mahals) ভোটে ‘অবাক’ চিত্র। গতকাল পঞ্চায়েত নির্বাচনের (West Bengal Panchayat Election 2023) দিন ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর- জঙ্গলমহলের এই ৩ জেলায় কিছু এলাকায় চললো কুড়মিদের (Kurmi) দাপট। মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ‘জয় গরাম’ পতাকা। আর তার জেরে এজেন্টই দিতে পারল না শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। এলাকায় কুড়মিদের দাপটের কথা স্বীকার করে নিয়েছে বিজেপিও।

শনিবার নয়াগ্রামের চাঁদাবিলা পঞ্চায়েতের নারদা বুথে ভোট দিতে এসে বিজেপির মণ্ডল সহ-সভাপতি তথা অঞ্চল প্রমুখ প্রভাত মাহাতো বলেন, ‘‘এখানে অন্য ব্যাপার আছে। বিজেপি প্রার্থী থাকলেও ভোট সমাজেরই হবে।’’ আবার নারদা বুথের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল মাহাতোর কথায়, ‘‘সমাজের দাপটে বুথ ক্যাম্পও করতে পারিনি।’’ খোদ রাজ্যের শাসকদলের এই স্বীকারোক্তিতে বিস্মিত অনেকেই।

এই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির দাঁড়ানো আসনে তৃণমূল প্রার্থী নিরঙ্কুশ মাহাতোর অভিযোগ করেন, ‘‘ওরা গরাম থানে ঠাকুর রেখে শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছে জোর করে।’’ অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়ে কুড়মি প্রার্থী প্রণব মাহাতো বলেন, মানুষ গরাম ঠাকুরকে ভালবাসে। জানা যায়, গরাম থানে প্রণাম করে শপথ নিয়ে কুড়মিরা সেই জায়গায় ভোট দিয়েছেন।

তুঙ্গাধুয়া গ্রাম, পুখুরিয়া বুথও ঘিরে রেখেছিলেন কুড়মিরা। পুখুরিয়া বুথে তৃণমূল, বিজেপি, কুড়মি সমাজের সব দলের এজেন্ট থাকলেও তৃণমূল, বিজেপিরও অনুমান এখানে সমাজই চলবে। বিজেপি এজেন্ট তো সাফ বলেই দেন, ‘‘এখান সমাজ ছাড়া কিছু হবে না।’’

tmc flg

অন্যদিকে, গোখুরপাল বুথের বাইরে শাসকদলের প্রার্থী ডুগু হেমব্রম ভোটারদের টাকা দিয়ে প্রভাবিত করার সময় আবার হাতেনাতে ধরে ফেলেন কুড়মিরা। চাপে পড়ে অভিযোগ স্বীকারও করে নেয় তৃণমূল প্রার্থী। রাধানগর পঞ্চায়েতের মাটিহানা বুথেও এজেন্ট দিতে পারেনি তৃণমূল। সবমিলিয়ে জঙ্গলমহলে চললো ‘জয় গরাম’ দাপট।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর