‘তোরা প্রার্থী কেন দিয়েছিস’, হরিহরপাড়ায় CPM নেতাকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার তৃণমূলের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Elections) শুরু হওয়ার আগেই মনোনয়ন দাখিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্য। মনোনয়ন পর্বে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার একাধিক স্থান থেকে উত্তেজনার খবর সামনে এসেছিল। এরই মাঝে এবার সিপিএমের (CPM) সাত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিয়ে দলীয় নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে। অভিযোগ হরিহরপাড়ার হুমাইপুরে সিপিএম নেতাকে বেধড়ক মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।

অভিযোগ, প্রার্থী পদ তুলে নেওয়ার জন্য সোমবার হুমাইপুর সিপিএম অঞ্চল কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান শেখকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে মারধর করে তৃণমূল। ঘটনা ঘিরে শোরগোল পরে যায় গোটা এলাকায়। তৃণমূলের দিকে আঙ্গুল উঠলেও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।

জানা গিয়েছে, গতকাল কামরুজ্জামান হরিহরপাড়ার তাজপুর থেকে মহেশমারার দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎই হুমাইপুর অঞ্চলের রামপাড়া এলাকায় তার রাস্তা আটকে দেয় তৃণমূলের লোকজন। এরপর নেতাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

আক্রান্ত সিপিএম নেতার কথায়, “আমার বাড়ি তাজপুর। সেখান থেকে মোটর সাইকেলে চেপে মহিষপাড়া যাচ্ছিলাম। রামপাড়ায় তৃণমূলের পার্টি অফিস করেছে। আমাকে সেখানেই দাঁড় করিয়ে বেধড়ক মারল। লাঠি, বাঁশ দিয়ে মেরেছে। কেন প্রার্থী হয়েছি সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্যও চাপ দিতে শুরু করল। কোনওভাবে বেঁচে ফিরে এসেছি। ”

tmc cpm 1

কামরুজ্জামানের অভিযোগ, “আমি সিপিএম করি বলেই আমাকে এভাবে মারধর করা হল। আমি প্রার্থী নই। তবে আমাদের দলের হুমাইপুরে ৭ জনের প্রার্থীপদ তুলে নেওয়ার কথা বলে আমাকে মারা হয়।” যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর