বাংলা হান্ট ডেস্ক: সিনেমায় এর আগে অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে বড় স্তরে সেভাবে কাজ হতো না বললেই চলে। তার একটা বড় কারণ ছিল অবশ্যই বাজেট। সেই সঙ্গে, বাণিজ্যিক ও নির্মাণের দিক থেকেও অ্যাডভেঞ্চারধর্মী সিনেমা ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবে, বেশ কয়েক বছর ধরে সেই ছবি অনেকটাই বদলেছে। বাংলা সিনেমায় এখন অনেক পরিচালক, প্রযোজকরাই বেছে নিচ্ছেন অ্যাডভেঞ্চার নির্ভর চিত্রনাট্য। আর সেই তালিকাতেই নবতম সংযোজন ‘সাগরদ্বীপের যকের ধন’। ‘যকের ধন’র পর তাঁর সেই ছবির সিকুয়েল নিয়ে হাজির হচ্ছেন পরিচালক।
গত ২১ মে প্রকাশ্যে এসেছিল ‘সাগরদ্বীপে যকের ধন’ ছবির পোস্টার। তবে পোস্টার মুক্তির পর বেশ কয়েকমাস কেটে গেলেও ট্রেলার প্রকাশ্যে আনেননি ছবির নির্মাতারা। কেন প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না ছবি ট্রেলার এনিয়ে উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্রকাশ্যে আনা হল সাগরদ্বীপে যকের ধনের ট্রেলার।
চলতি সপ্তাহে বুধবার রিলিজ হয়েছে সাগরদ্বীপে যকের ধনের ট্রেলার। সেখানে বিভিন্ন চরিত্রে দেখা গেছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কোয়েল মল্লিক, গৌরব চক্রবর্তী, রজতাভ দত্তকে। ইতিমধ্যেই ইউটিউবে ২ লাখেরও বেশিবার দেখা হয়েছে এই ট্রেলার। “সলিল সমাধি মাঝে আছে চাবি তার, দক্ষিণাবর্তে খুলে যাবে দ্বার।” ট্রেলারের মাঝে পরমব্রতর গলায় এই ডায়লগই যেন সিনেমা দেখার জন্য এক সাসপেন্সের সৃষ্টি করে। সেই রহস্যে মোড়া চিত্রনাট্য দর্শকদের আকর্ষণ করতে সফল হয় কিনা, নজর সেদিকেই। খাইল্যান্ডে সমুদ্রের নিচে ধনসম্পদ খোঁজার গল্পকে ঘিরেই এগোবে ছবির গল্প।
এর আগে ২০১৭ সালে যকের ধনে বাজিমাত করেছিলেন পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল। সেই সিনেমারই সিক্যুয়েল হিসাবে আরও টানটান চিত্রনাট্যকেই মূল হাতিয়ার করতে চেয়েছেন পরিচালক। যার প্রযোজনার ভার সুরিন্দর ফিল্মসের কাঁধে। আর সেই দায়িত্বে যে তাঁরা অনেকটাই সফল, তা ছবির ঝকঝকে ভিএফএক্স থেকেই স্পষ্ট।
ছবিতে বিমলের ভূমিকায় দেখা যাবে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। তবে যকের ধনের কুমার রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় এই ছবিতে বদলে গিয়েছেন। সাগরদ্বীপে যকের ধনে কুমারের ভূমিকায় দেখা যাবে গৌরব চক্রবর্তীকে। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন সৌগত বসু। সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মিমো। সিনেমাটোগ্রাফারের দায়িত্বে ছিলেন রম্যদ্বীপ সাহা। ছবির সম্পাদনা করেছেন পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল নিজেই। ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ৬ ডিসেম্বর।