বাংলাহান্ট ডেস্ক : মেয়ের চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে আজই নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আজ রাত ৮টায় সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে।
কিন্তু আদালত এই রায় ঘোষণা করার সময় কলকাতা থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে মেখলিগঞ্জেই ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী। ফলে হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়া কার্যতই অসম্ভব তাঁর পক্ষে৷ এমনকি বিষয়টির সম্পর্কে তিনি সাংবাদিকদের কাছ থেকেই জানলেন বলেও দাবি করেন পরেশ অধিকারী। এরপর রীতিমতো হাসিমুখেই তাঁকে গাড়িতে উঠতে দেখা যায়।
এদিন বিকেলেই কলকাতার উদ্দ্যেশ্যে রওনা হয়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু বলাই বাহুল্য, কোনও মতেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিবিআই দপ্তরে পৌঁছানো সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে। সন্ধ্যে ৭টা অবধি সিবিআইয়ের সঙ্গে পরেশবাবু কোনও যোগাযোগই করেননি বলেই খবর। যোগাযোগ করা হয়নি সিবিআইয়ের তরফেও। ইতিমধ্যেই নথিপত্র সহ সিবিআই দপ্তরে হাজির হয়েছেন মামলাকারীদের একজন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতার মেখলিগঞ্জ হাইস্কুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা পদে যোগ দেওয়ার সময় থেকেই দানা বাঁধতে থাকে বিতর্ক। ওঠে একাধিক অভিযোগও। সেই মামলার রায় এবার শোনান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৮ সালে অর্থাৎ যে সময়ে অঙ্কিতা স্কুলের চাকরিতে যোগ দেন সেই সময় মোটেই শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন না পরেশ অধিকারী। তিনি ছিলেন বাম আমলের মন্ত্রী। ২০১৮ সালে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে নিশীথ প্রামাণিকের কাছে হারলেও ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে মেখলিগঞ্জ থেকেই জেতেন পরেশ অধিকারী। এই জয়ের পরই মন্ত্রীসভায় স্থান দেওয়া হয় তাঁকে।