বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বোন, এই পরিচিতির পাশাপাশি অভিনেত্রী হিসেবেও স্বতন্ত্র পরিচিতি তৈরি করেছেন পরিণীতি চোপড়া (parineeti chopra)। প্রায় এক দশকের কেরিয়ারে একাধিক ভিন্ন ধর্মী চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। কেরিয়ারের শুরুর দিকে একেবারে পাশের বাড়ির মেয়ের লুক থেকে ‘দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন’, ‘সাইনা’র মতো ছবি পর্যন্ত পরিণীতির সফর দেখেছেন দর্শকরা। অনেকটা রাস্তা এসেছেন অভিনেত্রী।
তবে দিদি প্রিয়াঙ্কা যেমন মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার পর অভিনয় জগতে এসেছিলেন, পরিণীতির কিন্তু তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। বরং লন্ডনে একটি ভাল কাজের সন্ধানে ছিলেন তিনি। ম্যাঞ্চেস্টার বিজনেস স্কুল থেকে বিজনেস, ফিন্যান্স এবং ইকনমিক্সে অনার্স পড়েছিলেন পরিণীতি। এমন ভাল নম্বর নিয়ে লন্ডনে কোনো আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কেই কাজ করার ইচ্ছা ছিল তাঁর।
পরিণীতি নিজে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, চিরদিন তাঁর ব্যাঙ্কে কাজ করার ইচ্ছা ছিল। এর জন্য লোন নিয়ে ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। কিন্তু চাকরি মেলেনি। মুহূর্তের সিদ্ধান্তে মুম্বইয়ের টিকিট বুক করে ফেলেন পরিণীতি। অভিনেত্রী জানান, সে সময় দিল্লির টিকিটের দাম অনেক বেশি ছিল। শুধুমাত্র সেই কারণেই তিনি মুম্বই আসার কথা ভেবেছিলেন।
স্বপ্ননগরীতে এসে যশ রাজ স্টুডিওজে মার্কেটিং ও পিআর ডিপার্টমেন্টে ইন্টার্নশিপ শুরু করেন তিনি। সে সময়েই তাঁর ফিল্মমেকিং ও অভিনয়ে হাতেখড়ি। পরিণীতির ইন্টার্নশিপ চলাকালীন পরিচালক মনীশ শর্মা তাঁকে দেখে পছন্দ করে ফেলেন এবং ‘লেডিস ভার্সেস রিকি বহেল’ ছবিতে ডেবিউও করে ফেলেন পরিণীতি। প্রথম বার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েই নাকি তাঁর মনে হয়েছিল বহু বছর ধরে অভিনয়ই করে আসছেন তিনি।
দিদি বলিউডের এত বড় একজন অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও প্রথমে এই জগৎটা নিয়ে কোনো আগ্রহ ছিল না পরিণীতির। কাউকে নিজের আদর্শ বলে ভাবতেও নারাজ তিনি। নিজের চেষ্টাতেই অভিনয় দক্ষতা ক্ষুরধার করছেন বলে জানান পরিণীতি।