বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েকদিন ধরেই দেশের সমস্ত ধরণের মিডিয়ায় ছেয়ে রয়েছে সংসদ কেলেঙ্কারির (Parliament Attack) মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝাঁ (Lalit Jha)। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে ললিত ঝা নিজেই দিল্লির কর্তব্যপথ এলাকার থানায় গিয়েছিলেন। এবং সেখানে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তারপর থেকেই ললিতের প্রতিটি বিষয়কে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আশ্চর্যের বিষয় হল বিগত বহুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষ উগরে দিচ্ছে ললিত। তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করেছেন যাতে লেখা আছে ‘ভারতের এখন বোমা দরকার।’ সেই সাথে দিল্লি পুলিশ এটাও জানাচ্ছে, সংসদে ঘটে যাওয়া ঘটনার কয়েকদিন আগে ললিত বিতর্কিত পোস্ট করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘ভারতের আজ যা দরকার তা হল বোমা। অত্যাচার, অবিচার ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ভারতের একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর দরকার।’
কেবল এটাই নয়, ললিত তার সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই এই ধরণের পোস্ট করে থাকেন। গত ৫ ডিসেম্বর একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘যে ব্যক্তি জীবিকা ও অধিকার নিয়ে কথা বলে, সে যেই হোক না কেন, তাকে কমিউনিস্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।’ সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সও উত্তেজনামূলক মন্তব্যে ভর্তি।
আরও পড়ুন : শীতের কামড়ে জবুথবু বাংলা, তারমাঝেই ঘনাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত! দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া নিয়ে বড় আপডেট IMD-র
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল জানিয়েছে, ললিত সোশ্যাল মিডিয়ায় কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি কার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং কী বিষয়ে কথা বলেছেন তা জানার চেষ্টা চলছে। সেই সাথে পুলিশের বক্তব্য, ললিত তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে উস্কানিমূলক পোস্ট করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতেন।
আরও পড়ুন : ‘মোদী-যোগী যেদিন যাবে, সেদিন ভাঙার কাজ শুরু হবে!’ রাম মন্দির নিয়ে বিষ্ফোরক মন্তব্য মুসলিম বৃদ্ধের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংসদ ঘটনার পরপরই রাজস্থানে গা ঢাকা দিয়েছিলেন এই কুচক্রী। তবে গত বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, নিজের ফোন তো বটেই সেই সাথে বাকি অভিযুক্তদের ফোনও নষ্ট করে দিয়েছে ললিত। সেই সাথে তদন্তকারী কর্মকর্তাদেরও বিভ্রান্ত করার সবরকম চেষ্টা করে চলেছে সে। উল্লেখ্য, নষ্ট হওয়া ফোন থেকেই তথ্য উদ্ধার করার সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা।