বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভায় (Lok Sabha) অনাস্থা প্রস্তাব (No Confidence Motion) নিয়ে বিতর্ক চলছেই। কংগ্রেসের (Congress) পক্ষ থেকে, গৌরব গগৈ (Gourab Gagoi) আলোচনা শুরু করেন এবং মণিপুর ইস্যুতে (Manipur Issue) সরকারকে কটাক্ষ করেন। একই সঙ্গে তার জবাবে বিরোধী জোটকে আয়না দেখানোর চেষ্টা করেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এই সময় সংসদে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
আজকে সকাল থেকেই বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনায় বিরোধীদের পক্ষে ‘ওপেনিং’ করতে নামবেন রাহুল গান্ধী। এমনকী লোকসভায় কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক কে সুরেশও বলে দেন যে রাহুল গান্ধী আজ প্রথম বক্তব্য রাখবেন। তবে সংসদে ফিরে এলেও আজ অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে প্রথমে বলতে ওঠেননি রাহুল গান্ধী। অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে বিরোধীদের হয়ে আজ প্রথম বক্তব্য পেশ করেন গৌরব গগৈ। এই নিয়ে টিটকিরি শুনতে হয় রাহুল গান্ধীকে।
এদিকে বিজেপি সাংসদরা বারবার প্রশ্ন করতে থাকেন, কী এমন হল! ১১টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত ঠিক ছিল রাহুল গান্ধী প্রথমে বক্তব্য পেশ করবেন। তবে ১২টার সময় তা বদলে গেল? এই আবহে গৌরব গগৈ পালটা আক্রমণ শানান সরকার পক্ষকে। তিনি বলেন, ‘লোকসভা স্পিকারের চেম্বারে যে কথা হয়েছে তা প্রকাশ করা ঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পিকারের ঘরে কী বলেন তা কি আমরা এখানে বলব?’ গৌরবের এই কথার পরেই আগুন হয়ে যান অমিত শাহ। তিনি চ্যালেঞ্জ করেন, ‘বলুন প্রধানমন্ত্রী কী বলেন।’
এরপরই কংগ্রেস সাংসদ কে. সি. ভেনুগোপাল বলেন সংসদের কার্যকারিতা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা হাউসের নেতার কাজ। কিন্তু সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এবং সুধাংশু ত্রিবেদী যে শব্দগুলি ব্যবহার করেছিলেন তা অনেক বিজেপি নেতাই ব্যবহার করছেন৷ তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইন্ডিয়া শব্দটিকে ভয় পান এবং সেই কারণেই তিনি প্রতিদিন ইন্ডিয়াকে নিশানা করছেন।
অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্ক চলাকালীন লোকসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা কিরেন রিজিজু বলেন ‘২০১৪ সালের আগে, উত্তর-পূর্বের অনেক মানুষ দিল্লি এবং দেশের অন্যান্য বড় শহরগুলিতে জাতিগত বৈষম্য এবং নৃশংসতার মুখোমুখি হয়েছিল। ২০১৪ সালের পরে পরিস্থিতি বদলে যায়। স্বাধীনতার পরে প্রথমবারের মতো গুয়াহাটিতে ডিজিপি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন পুলিসকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।