‘সর্ষের মধ্যেই ভূত’, বড় বড় অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পুলিশ সোর্সের একাংশ, চিন্তায় লালবাজার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কথায় বলে ‘সর্ষের মধ্যেই ভূত’, এবার এই প্রবাদ বাক্য সত্যি হল কলকাতা পুলিশের (kolkata police) হেড কোয়ার্টার লালবাজারের (lalbazar) সঙ্গে। কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার সোর্স নেটওয়ার্কের অধিকাংশই বর্তমানে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে। যার কারণে বেশকিছুটা চিন্তায় পড়ে গিয়েছে লালবাজার।

বিভিন্ন সময়ে নানা বড় দুস্কৃতী, কিংবা কোন বড় অপরাধী গ্যাংকে ধরতে পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়ে সাহায্য করে পুলিশের সেইসমস্ত সোর্স। ছোটখাটো অপরাধের সঙ্গে জড়িত এই সোর্সদের সাহায্যেই সমাজের বড় বড় অপরাধী, সমাজবিরোধীদের নানা কর্মকাণ্ডের খবর আগে থাকতে পেতে পারে পুলিশ।

   

1611882143 cal2

তবে বর্তমান সময়ে দেখা গেছে, পুলিশের এই সোর্সরাই ধীরে ধীরে বড় বড় অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। পুলিশের সোর্সরাই পুলিশের চোখ এড়িয়ে এক্সট্র্শন, বেআইনি ইমারতি ব্যবসা, স্মাগলিং বা কিডন্যাপের মত বড় অপরাধে লিপ্ত হয়ে পড়ছে। কসবার নানটি, মুন্না পান্ডে বা বড়বাজারের গোপাল তিওয়ারি, হরিদেবপুরের পায়রা বাপ্পা- নানা সময়ে পুলিশের সাহায্য করলেও, বর্তমানে তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেরাই গ্যাং তৈরি করে বড় অপরাধ করছে বলে সূত্রের খবর।

এবিষয়ে কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘পুলিশের সোর্সদের মধ্যে অনেকেই পকেটমার, দেহপসারিণী, বিভিন্ন নিষিদ্ধপল্লির দালাল বা পাতাখোর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু সমাজের বড় অপরাধের মাথাদের ধরতে, অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক অফিসারই এদের সাহায্য নিয়ে থাকেন। আবার কখনও কখনও এদের করা ছোটখাটো অপরাধও ছেড়ে দেয়। তবে বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে, এই সোর্সদের মধ্যে থেকেই কেউ কেউ এক্সট্র্শন, বেআইনি ইমারতি ব্যবসা, স্মাগলিং বা কিডন্যাপের মত বড় অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে, যা প্রকৃতপক্ষে পুলিশের কাছে আর বড় সমস্যা তৈরি করছে’।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর