বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জুন মালিয়ার পর ফের একবার রাজনীতিতে সৌজন্যের সুন্দর নজির রাখলেন রাজ্যের নয়া মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পূর্ব মেদিনীপুর শহরে বিধানসভা নির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জুন মালিয়ার পক্ষেই রায় দিয়েছিল বাংলার জনতা। কিন্তু জয়ের পরেও সৌজন্য বজায় রাখতে ভোলেননি জুন। সোজা পরাজিত বিজেপি প্রার্থী শমিত দাসের বাড়ি পৌঁছে যান তিনি। ভোটের লড়াই শেষ এবার হাতে হাত ধরে কাজ করার পালা। সে কথাই শমিতবাবুকে জানিয়ে পরিবারের সঙ্গে মিষ্টিমুখ করে সৌজন্য বিনিময় করেন তিনি। বাংলার গোটা নির্বাচন জুড়ে ছিল আকথা কুকথার বেসাতি। নির্বাচনী সৌজন্য বিষয়টিই প্রায় ভুলতে বসেছিল মানুষ। কিন্তু ২ মে ফলাফল ঘোষণার পরে পক্ষ-বিপক্ষের লড়াইয়ে শেষ তা একবার ফের জানিয়ে দিলেন বেহালা পশ্চিমের প্রার্থী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নির্বাচনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিপক্ষে বিজেপির পতাকা হাতে মাঠে নেমেছিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।
১ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৭৮ ভোটে তাকে পরাজিত করে ফের একবার আসন দখল করে নেন পার্থ। কিন্তু লড়াই শেষে প্রতিদ্বন্দ্বীকে সম্মান জানাতে ভোলেননি তিনি। মঙ্গলবার সকালে অভিনেত্রীকে ফোন করে পার্থ বলেন, মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করেছেন ঠিকই। তবে আপনার যদি মনে হয় কাজের ক্ষেত্রে কোন জায়গায় আমাদের ভুল হচ্ছে বা আরো কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে নিশ্চয়ই জানাবেন। এদিন শ্রাবন্তীকে হাতে হাত ধরে বাংলার উন্নয়নে সঙ্গী হওয়ারও বার্তা দেন পার্থ। অবশ্য শুধু বিজেপি প্রার্থী হিসাবে শ্রাবন্তীকেই নয়, সূত্রের খবর অনুযায়ী সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী নিহার ভক্তের সঙ্গেও এদিন ফোনালাপ করেন বর্ষীয়ান এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।
নিহারবাবুকে তিনি জানান, বেহালা পশ্চিমের উন্নয়নে কোথাও কোনো খামতি থাকলে এককথায় জানাবেন আমাদের। আপনাদের মতামত কেউ আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখব। রাজনৈতিক লড়াই মাঠে ময়দানে, তবে আসল কথা হল মানুষের উন্নয়ন। আর সেই উন্নয়নের লক্ষ্যে পাশে দরকার সকলকেই। কথায় বলে, রাজনীতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা বিরোধীর। সরকারকে সঠিক পথে চালনা করতে দরকার মজবুত বিরোধীপক্ষের। কারণ তাদের সমালোচনাই সরকারকে সঠিক পথে কাজ করতে সাহায্য করে। মৌখিকভাবে সেই বার্তাই শোনালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তবে কাজের ক্ষেত্রে তাই এখন কতটা প্রতিফলিত হয় সেটাই দেখার।pa