বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাজ্যে এখন হট টপিক ‘নিয়োগ দুর্নীতি’ (Recruitment Scam)। বিগত কিছুমাস ধরে শিক্ষক কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বহুজনা। জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) থেকে শুরু করে পর্যদের প্রাক্তন সভাপতি, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সহ আরও অনেকে।
বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য সহ মোট ১৪ জনকে আলিপুর আদালতে নিয়ে আসা হয়। সাত দিনের জেল হেফাজত শেষে ফের মামলার শুনানি হবে। এর আগের দিন পার্থকে আদালতে নেওয়ার সময় রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছিলেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার পার্থকে একেবারেই নীরব থাকতে দেখা গেল।
প্রসঙ্গত, এদিন পার্থের কিছু অনুগামী আদালতের বাইরে হাজির হন। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা একসময়ের হেভিওয়েট নেতাকে দেখে তার পক্ষে স্লোগান দিতে শোনা গেল। অনুগামীরা জোর গলায় স্লোগান তোলেন,‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’। এদিন নিজেকে দেখে তোলা স্লোগান শুনতে শুনতেই আদালতকক্ষে ঢুকে যান পার্থ। মুখে টু শব্দটিও নেই।
যেখানে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে একাধিকবার পার্থর বিরুদ্ধে চোর স্লোগান ওঠে। সেখানে হঠাৎ ‘জিন্দাবাদ’ স্লোগান শুনেই হয়তো নীরব রইলেন পার্থ। এর আগে ২৩ মার্চ আদালতে পেশ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেই সময় শুনানিতে বিচারক প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আরও সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর সেই হেফাজতের মেয়াদ ফুরোলে ফের তাকে আদালতে তোলা হল।
প্রসঙ্গত, এর আগেরদিন আলিপুর আদালতে ঢোকার মুখে কার্যত বিস্ফোরণ ঘটান পার্থ। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কার বলছি। আজকে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী বড় বড় কথা বলছেন। তারা কী করেছেন?’ এরপরেই তার মন্তব্য, ‘২০০৯-১০ সালে উত্তরবঙ্গে কী করেছিলেন। সেই সময়কার সিএজি রিপোর্ট পড়ুন।’
শুধু তাই নয়, এরপর পার্থ আরও বলেন, ‘২০১১-১২ সালে আমার কাছে তদ্বির করা হয়েছিল। আমি পরিষ্কার বলেছিলাম, আমি নিয়োগ কর্তা নই। কোনও নিয়োগ আমি বেআইনিভাবে নিয়োগ করতে পারব না।’ পার্থর এই মন্তব্যের পরই আলোড়ন পরে যায় গোটা বঙ্গে। তবে এদিন একেবারেই বিপরীত রূপে ধরা দিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এর আগের দিন শুনানির পরও বিচারকের সামনে মুখ খোলেন পার্থ। নিজের পক্ষে সওয়াল করেন। আদলতে মুখ খোলার পরেই কি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ‘চোর’ অপবাদ ঘুচল? প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের।