বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তিন বছর, তিন মাস এবং উনিশ দিনের কারাবাস শেষে অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। মুক্তির পর ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে বিধানসভায় যোগ দিতে চান তিনি। প্রাক্তন পরিষদীয় মন্ত্রীর এই ইচ্ছার কথা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে বিধানসভা সচিবালয় পর্যন্ত।
বিধানসভা অধিবেশনে কোথায় বসবেন পার্থ (Partha Chatterjee)?
তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হলেও, বর্তমানে পার্থ দল থেকে বহিষ্কৃত। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর পুরনো ট্রেজারি বেঞ্চে বসা সম্ভব নয়। বিধানসভা কক্ষে স্পিকারের ডান পাশে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসকদলের মন্ত্রীরা। অপরদিকে, বাঁ পাশে বসেন বিরোধী বিজেপি বিধায়কেরা। এমন পরিস্থিতিতে পার্থর জন্য নতুন আসন ঠিক করা নিয়ে সচিবালয়ের মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা। সূত্রের খবর, শাসক ও বিরোধী বিধায়কদের আসনের মাঝামাঝি কোনও জায়গায় বসার অনুমতি দেওয়া হতে পারে তাঁকে।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তৃণমূল ও বিজেপি ছাড়া রয়েছেন আরও এক বিধায়ক, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁকে বসতে দেওয়া হয়েছে শাসক ও বিরোধী দলের মাঝের আসনে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ক্ষেত্রেও একই ধারা অনুসরণ করা হতে পারে বলে মনে করছে সচিবালয়। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বসিরহাট দক্ষিণের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বর্তমান রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর ক্ষেত্রেও একইভাবে মাঝামাঝি আসন বরাদ্দ হয়েছিল। তবে পার্থর (Partha Chatterjee) ঘটনা ভিন্ন, কারণ তিনি একসময় শাসকদলের অন্যতম প্রভাবশালী মুখ ছিলেন।
পার্থর (Partha Chatterjee) বিধানসভায় যোগ দেওয়া নিয়ে তৃণমূল পরিষদীয় দলের সদস্যরা এখনই মুখ খুলতে নারাজ। যেহেতু তাঁকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই বিষয়টি নিয়ে দলের নেতারা নীরব। সচিবালয়ও সতর্কভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে নিয়ম ও রীতিনীতির ব্যাঘাত না ঘটে।

আরও পড়ুনঃ বুধেই DA মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা? বিশেষ বেঞ্চ গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট!
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে প্রথমবার বেহালা পশ্চিম থেকে তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। ২০০৬ সালে দ্বিতীয়বার জেতার পর তাঁকেই বিরোধী দলনেতা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে তাঁকে দেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর, যথা- শিক্ষা, শিল্প ও পরিষদীয় দপ্তর। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ালে দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। তিন বছর তিন মাস পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন পার্থ।












