বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েকদিন ধরে এসএসসি কেলেঙ্কারি ইস্যুতে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা অব্যাহত ফিরহাদ হাকিম এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। দলের অন্দরে সেই বিরোধ এবং ফাটল যতখানি স্পষ্ট, ততটাই স্পষ্ট হয়ে উঠছে বাইরে থেকেও। এবার দলের অন্দরের এই কোন্দলের জেরে কুণাল ঘোষের কুশপুতুল পুড়ল বেহালায়। তৃণমূল মুখপাত্রের কুশপুতুল পুড়িয়ে তাঁর অপসারণের দাবিতে সরব হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীরা।
কয়েকদিন ধরে তুঙ্গে কুণাল বনাম পার্থ বিরোধ। দলের অন্যান্য নেতাদেরও কাউকেই কার্যত রেয়াত করছেন না তৃণমূলের এই মুখপাত্র। এসএসসি নিয়োগের মামলায় তদন্ত চলছে, তাতে গতকালই জড়িয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। কিন্তু দিন তিনেক আগে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, এই দুর্নীতির ব্যাপারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন। তাঁর এহেন মন্তব্যকে ঘিরেই শুরু হয় তুমুল জল্পনা। এর প্রেক্ষিতে আবার কুণালকে পালটা দেন ফিরহাদ হাকিম। কুণাল ঘোষ মন্ত্রীসভার সদস্য নয় বলে উল্লেখ করে তিনি ঘুরিয়ে প্রশাসনিক ব্যাপার থেকে খানিক তফাতেই থাকতে বলেন তৃণমূল মুখপাত্রকে। এরপরই আবার বিস্ফোরণ মন্তব্য করেন কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, তাঁর মন্ত্রীত্বের জন্য হ্যাংলামিই নেই। তাই দলের হয়ে কথা বলবেন তিনি।
ফিরহাদকে একহাত নিয়ে ফেসবুক লাইভে সরব হন কুণাল। নাম না করেন তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এখন ভাড়াটে সৈনিকদের সাফাই দিতে হচ্ছে। আমি যে মন্ত্রী নই আমায় সেকথা মনে করিয়ে দেওয়ার দরকার নেই।’ এখানেই শুধু থামেননি কুণাল। সোমবার আদালতে দাঁড়িয়ে আবারও নাম না করে অনুব্রতকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ড তো এখন কয়েদীদের শেল্টার হয়ে উঠছে।’
কার্যতই একের পর এক নেতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে তৃণমূল মুখপাত্র। বিবাদে জড়াচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে। সেই সব নেতারা এককাট্টা থাকলেও কাউকেই দেখা যাচ্ছে না কুণালের সমর্থনে। তবে কার মদতে বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ? সব মিলিয়ে তুমুল বিশৃঙ্খলা তৃণমূলের অন্দরে। আমজনতার একটাই প্রশ্ন, হচ্ছে টা কী? যদিও সেই কী এর উত্তর নেই কারও কাছেই।