বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনের ফলাফল ২ মে প্রকাশিত হলেও যে ফলাফলের রেশ এখনও কাটেনি তা বলাই বাহুল্য। একদিকে যেমন নন্দীগ্রাম সহ অন্য চার বিধানসভায় পুনর্গণনার দাবি তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল। তেমনি আবার অন্যদিকে প্রায় ৫০ টি বিধানসভা আসন পুনর্গণনার দাবি তুলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে বিজেপিও।
নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর জয়ের পিছনে যে রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর তত্ত্ব, একথা আগেও বারবার বলেছে তৃণমূল। শেষ পর্যন্ত সেই সূত্র ধরেই পুনর্গণনার দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলার শুনানি রয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার।
অন্যদিকে তৃণমূলের এই কাণ্ডের পর মুখ খুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, প্রায় ৫০ টি বিধানসভা কেন্দ্রে অত্যন্ত কম মার্জিনে হেরেছে বিজেপি। কোথাও ব্যবধান দুহাজার কোথাও বা এক হাজারের কিছু। সরাসরি পুনর্গণনার কথা না না বললেও তার দাবি, অনেক কেন্দ্রেই আসলে তৃণমূল নেতাদের ভয়ে শেষ পর্যন্ত বসে থাকতে পারেননি বিজেপি এজেন্টরা। আর সেই কারণেই ফলাফলে কারচুপি করেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। নেতৃত্ব চাইলে আগামী দিনে রণনীতি ঠিক করা হবে।
তবে তার আগেই এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের এই বর্ষিয়ান নেতা এদিন টুইটারে লেখেন, “রাজ্য জুড়ে বিজেপি নেতারা যেভাবে বারবার অশান্তি তৈরীর ছুতো খুঁজে চলেছেন তা দেখে সত্যিই উদ্বিগ্ন। আসলে বাংলার মানুষের দেওয়া রায় মেনে নিতে পারছেন না তারা।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগেও নির্বাচনী হিংসা প্রসঙ্গেও একই ধরনের মন্তব্য করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। এখন আগামী দিনে এই ঘটনা কোনদিকে বাঁক নেয় সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।
ফিরহাদ হাকিমের কুমন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য! কুণাল বললেন ‘ওই বিপ অংশ…’