বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সময়টা কোন মতেই ভালো কাটছে না প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congeess) নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। কয়েকদিন পূর্বেই দলীয় মহাসচিব পদের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস দল থেকেও বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। এই মুহূর্তে পড়ে রয়েছে শুধুমাত্র বিধায়ক পদ আর এবার সেই পদ থেকেও ইস্তফা দিতে চাইলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রীর আইনজীবী দ্বারা এহেন দাবি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ‘প্রভাবশালী’ তকমা দূর করার জন্যই এই কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন পূর্বেই ইডির হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এসএসসি মামলায় তাঁর ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি নগদ অর্থ এবং সোনা গয়না উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার হন দুজনেই। এই মামলায় প্রায় দু সপ্তাহের কাছাকাছি ইডি হেফাজতে থাকার পর এদিন আদালতে তোলা হয় পার্থ-অর্পিতাকে। আদালত সূত্রের খবর, এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেল হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে ইডি। তবে অপরদিকে এর বিরোধিতা করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী।
এদিন আদালতে পার্থের আইনজীবী জানান, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় একজন সাধারণ মানুষ। তাঁর বয়স অনেক বেশি। এর আগে কোনরকম অপরাধও করেননি তিনি। তাই যদি তাঁকে জামিন দেওয়া হয়, তিনি কোথাও পালিয়ে যাবেন না।” অপরদিকে, ইডির আইনজীবী জানান, “যেভাবে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি নগদ অর্থ এবং একাধিক সম্পত্তির দলিল পাওয়া গিয়েছে, এরপর এসএসসি মামলার সঙ্গে পার্থ-অর্পিতার যোগসূত্র ক্রমশ পরিস্কার হচ্ছে। এমনকি, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ৩১ টি এলআইসি পাওয়া গিয়েছে, যাতে নমিনি করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাই বর্তমানে দুজনকেই হেফাজতে রাখার প্রয়োজন রয়েছে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিরুদ্ধে প্রধান যে বিষয়টি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে, তা হলো তাঁর ‘প্রভাবশালী’ তকমা। তবে অপর এক মহলের দাবি, বর্তমানে দলের সকল পদ হারিয়ে পার্থ একজন সাধারণ মানুষ। এক্ষেত্রে কেবলমাত্র বিধায়ক পদই রয়ে গিয়েছে তাঁর আর এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার প্রসঙ্গ আসলে ‘প্রভাবশালী’ তকমা মুছে দেওয়ার জন্যই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।