অন্ধকার হোটেলে বসে বাইরে বৃষ্টির আওয়াজ, ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে প্রাণ হাতে করে পাহাড় থেকে ফেরার অভিজ্ঞতা জানালেন পায়েল

বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাহাড়ের সৌন্দর্য বরাবর আকর্ষণ করে এসেছে পর্যটকদের। কিন্তু প্রকৃতির রোষে সেই সুন্দ‍র শৈলশহরই যে রূপ ধারন করে তা যে না দেখেছে সে কল্পনাও করতে পারবে না। পাহাড়ের সেই ভয়ংকরী রূপ এবার প্রত‍্যক্ষ করলেন অভিনেত্রী পায়েল দে (payel dey)। পুজোর ছুটিতে সপরিবারে ঘুরতে গিয়ে তিনি আটকে পড়েছিলেন নির্জন পাহাড়ি গ্রামে। সৌভাগ‍্যক্রমে সকলেই সুস্থ ভাবে এখন নেমে এসেছেন সমতলে।

পুজোর ছুটিতে প্রতিবারের মতোই এবারেও পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন পায়েল। সঙ্গী স্বামী দ্বৈপায়ন দাস, ছোট্ট ছেলে মেরাক এবং বৃদ্ধ শ্বশুর শাশুড়ি। পর্যটকদের ভিড় এড়াতে গত ১৫ অক্টোবর কালিম্পং থেকে এক নির্জন পাহাড়ি গ্রাম টাকনায় পৌঁছান তাঁরা। প্রথম দিনটা খুবই ভাল কেটেছিল।

payel 1
দুর্যোগ শুরু হয় ১৬ অক্টোবর থেকে। যেন দুঃস্বপ্নের মধ‍্যে কেটেছে দিনগুলো। সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতা স্মরণ করে এখনো বুকে কাঁপুনি ধরে পায়েলের। সংবাদ মাধ‍্যমকে তিনি জানিয়েছেন সেই অভিজ্ঞতা। দুর্যোগের মধ‍্যে হোটেলে চলে গিয়েছিল বিদ‍্যুৎ সংযোগ। ফোনে চার্জ পর্যন্ত ছিল না। চারিদিক ডুবে অন্ধকারে। তার মধ‍্যে থেকে থেকে মেঘের গর্জন আর বৃষ্টির আওয়াজ।

বিপদ আরো বেড়েছিল যখন জানতে পেরেছিলেন কালিম্পং থেকে সমতলে নামার চারটি রাস্তার মধ‍্যে তিনটিই বন্ধ। যেটি খোলা সেটিও মাঝে মধ‍্যে বন্ধ রেখে চলছে সারাইয়ের কাজ। তার মধ‍্যেই প্রাণ হাতে করে বৃহস্পতিবার ভোরবেলা পেছনের রাস্তা দিয়ে হেঁটে টাকনা থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছেছেন তাঁরা।

IMG 20211022 130918
পায়েলের তখন বেশি চিন্তা, ছোট্ট মেরাক ও বৃদ্ধ শ্বশুর শাশুড়িকে নিয়ে। ১৫ মিনিট ধরে একরত্তি ছেলেটাকেও ব‍্যাগ কাঁধে হাঁটতে হয়েছে। পায়েল জানান, সমতলে নামতে পারেননি বলে বুধবার তাঁদের কলকাতা ফেরার ট্রেন মিস হয়েছে। বাতিল হয়েছে পায়েল দ্বৈপায়নের একদিনের শুটও। তাও একটাই ভাল খবর, সকলে সুস্থ শরীরে সমতলে নেমে এসেছেন। শুক্রবার সকালেই আকাশপথে বাড়ি ফিরবেন সকলে।

Avatar
Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর