বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীনের (Chaina) ভাইরাস হলেও বিশ্বের প্রায় ১১০ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (COVID-19)। যার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। আক্রান্ত দেশগুলো থেকে নিজের দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনছে ভারতসহ (India) বিভিন্ন দেশ। বিশ্বের এই মহামারি পরিস্থিতিতে মানুষ এখন খাদ্য সংকটে। মেনুর তালিকা থেকে বাদ পড়েছে তাঁদের প্রিয় চিকেন (Chicken)। আর তাঁর জায়গায় জায়গা করে নিয়েছে এঁচোড় (Jackfruit)।
খাদ্য সুরক্ষা ও মান নিয়ামক সংস্থা বা এফ এস এস এ আই এক বিবৃতি দিয়েছিল যে, মুরগির মাংস বা ডিম খেলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যেম তাঁরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে জীবজন্তুর মাধ্যেম এই রোগ ছড়াচ্ছে না। আর খাবার রান্না করার সময় সেটা ভালো করে ধুয়ে ভালো করে সেদ্ধ করে রান্না করলে, আর কোন সমস্যা থাকে না।
তাঁরা আরও বলেছিলেন যে, বিশ্বের কোন পোলট্রি ফার্ম থেকেই এই ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়নি। তার উপর ভারতে সব কিছুই রান্না করার সময় যেহেতু ভালো করে সেদ্ধ করে নেওয়া হয়, তাই এক্ষেত্রে রোগের কোন ঝুঁকি নেই। তাই বাকিদের কথায় কান না দিয়ে নিশ্চিন্তে মুরগির মাংস খেতে পারেন বলে জানায় তাঁরা। কিন্তু তাঁর পরও মুরগীর প্রতি আর আগের মতো চাহিদা নেই কারোরই।
এই পরিস্থতিতে পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore) জেলার চন্দ্রকোনা রেগুলেটেড মার্কেটে চিকেন অপেক্ষা এঁচোড়ের চাহিদাই বেশি করে দেখা যাচ্ছে আমজনতার মধ্যে। করোনার ভয়ে চিকেন ছেড়ে নিরামিষাশী হয়ে যাচ্ছে মানুষ। এতে করে মাংস বিক্রেতারা ক্ষতির সম্মুখীন হলেও, লাভের মুখ দেখাছে কিন্তু এঁচোড় ব্যবসায়ীরা।