নেই চিকিৎসক, ডাক্তারের বদলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগী দেখছেন গ্রুপ ডি কর্মী! চাঞ্চল্য মালদায়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ ভুরিভুরি। কোথাও অভিযোগ পর্যাপ্ত চিকিৎসা কর্মী না থাকার, আবার কোথাও বেড না পাওয়ার। কাশিমপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রোগীদের তরফ থেকে এবার যে অভিযোগটি এসেছে তার রীতিমত চমকে দেওয়ার মতো।

সূত্রের খবর, ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে গত এক বছর ধরে কোন চিকিৎসক নেই। বর্তমানে সেখানে একজন গ্রুপ ডি কর্মী রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবার কাজে যুক্ত রয়েছেন । মালদহের বামনগোলা ব্লকে জগদ্দলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিমপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওই গ্রুপ-ডি কর্মী হোমিওপ্যাথির সাহায্যে রোগীদের সারিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন । স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গত এক বছর ধরে চিকিৎসক না থাকায় বেজায় অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন রোগীরা। চিকিৎসা পরিষেবাকে দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য চিকিৎসক নিয়োগের দাবি তুলেছেন তারা।

এদিকে, আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের কাছে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি একমাত্র আশার আলো। অন্যথায় তাদের চিকিৎসা করাতে যেতে হয় বহুদূরে। ফলে বাধ্য হয়ে তাদেরকে ওই চিকিৎসাকেন্দ্রে হোমিওপ্যাথি ওষুধের উপরেই ভরসা রাখতে হচ্ছে। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গত এক বছর ধরে কোন ডাক্তার নেই। এক গ্রুপ ডি কর্মী ডাক্তার হয়ে চিকিৎসা করছেন। এই হাসপাতালে তিনজন গ্রুপ-ডি কর্মী এর মধ্যে একজন গ্রুপ-ডি কর্মী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করছেন।” তাদের আরো অভিযোগ, এর আগে বহুবার সিএমওএইচ এর কাছে এই নিয়ে দরখাস্ত করলেও কোন ফল হয়নি।

jpg 20220629 195504 0000

অন্যদিকে ওই গ্রুপ-ডি কর্মী রঞ্জিত দাস জানিয়েছেন, “ডাক্তারবাবু ছুটিতে আছেন। তাই আমাকে চিকিৎসার দায়িত্ব দিয়ে গেছেন।” চিকিৎসকের বদলে একজন গ্রুপ-ডি কর্মী কিভাবে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা করতে পারেন সেই নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর