বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, PepsiCo India দেশে (India) তার সম্প্রসারণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) উজ্জয়িনীতে একটি ফ্লেভার উৎপাদন ফেসিলিটি স্থাপন করতে ১,২৬৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।
কোম্পানির বিবৃতি অনুসারে, ২২ একর জুড়ে বিস্তৃত এই প্ল্যান্টটি ভারতে PepsiCo-র পানীয় উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি ২০২৪ সালেই নির্মাণ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি, ২০২৬ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে এটি চালু হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে PepsiCo-র চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া) জাগ্রত কোটেচা জানিয়েছেন, “মধ্যপ্রদেশ সরকারের সহায়তায় আমরা এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক ল্যান্ডস্কেপকে উন্নত করার জন্য চিত্তাকর্ষক অগ্রগতি করার পাশাপাশি আমাদের বাজারকে প্রসারিত করার লক্ষ্য রাখছি।” এদিকে, PepsiCo India-র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বেভারেজেজ জর্জ কোভুর বলেছেন যে, নতুন ইউনিটটি ভারতে কোম্পানির দ্বিতীয় (ফ্লেভার) উৎপাদন ফেসিলিটি হবে। ওই কোম্পানির বর্তমানে পাঞ্জাবের চান্নোতে একটি (ফ্লেভার) উৎপাদন ফেসিলিটি রয়েছে। এদিকে, এই সংস্থার ভিয়েতনামেও বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। জানা গিয়েছে যে, সেখানে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হতে পারে।
আরও পড়ুন: এই তাপমাত্রায় চালান AC, কমবে কারেন্টের বিল, ঘর হবে হিমালয়ের মতো ঠান্ডা
রয়েছে আরও পরিকল্পনা: PepsiCo-র তরফে জানানো হয়েছে যে, তারা আসামের নলবাড়িতে প্রথম খাদ্য উৎপাদন কারখানা স্থাপন করতে ৭৭৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। PepsiCo-র একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ৪৪.২ একর জুড়ে বিস্তৃত এই প্ল্যান্টটি ২০২৫ সালে চালু করার প্রস্তাব করা হয়েছে এবং এর লক্ষ্য হল আসামের ৫০০ জনকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া।
আরও পড়ুন: “ছাইপাঁশ প্রচেষ্টা করা হচ্ছে”, অরুণাচলের আশায় থাকা চিনকে কড়া জবাব ভারতের
প্ল্যান্টে ৭৫ শতাংশ মহিলা থাকবেন: উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই PepsiCo India অসম দক্ষতা উন্নয়ন মিশন এবং কর্মসংস্থান ও কারিগর প্রশিক্ষণ দপ্তরের সাথে একটি ত্রিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে, যাতে মহিলাদের ক্ষমতার প্রচার এবং ওই অঞ্চলে মহিলাদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য একটি নিরাপদ এবং সহায়ক কাজের পরিবেশ তৈরি করা যায়। সংস্থাটির লক্ষ্য হচ্ছে ওই প্ল্যান্টে কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ মহিলার কর্মসংস্থান।