বাংলাহান্ট ডেস্ক : পিরিয়ডের (Periods) সময় মহিলাদের পেটে বা শরীরে ব্যথা খুব সাধারন একটি বিষয়। পিরিয়ড বা মাসিক চলার সময় অনেক মহিলা তাই ব্যথার সমস্যার সম্মুখীন হন। অনেকেই রয়েছেন যারা ব্যথা কমানোর জন্য ওষুধের সাহায্য নেন। তবে এমন কিছু ঘরোয়া উপায় (Home Remedy) রয়েছে যেগুলি মেনে চললে অনেকটাই কমতে পারে পিরিয়ডের ব্যথা।
আজকাল বিভিন্ন পেইন কিলার ওষুধ বাজারে বিক্রি হয় পিরিয়ডের ব্যথা (Pain) কমানোর জন্য। চিকিৎসকের বলেন, খুব সমস্যা না হলে এই ধরনের পেইন কিলার এড়িয়ে চলাই ভালো। চিকিৎসকদের কথায়, মাসিক চলার সময় বুঝতে হবে ব্যথার তীব্রতা কেমন এবং সেটি সময়ের সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা। যদি ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হয় তাহলে বুঝতে হবে শরীরে রয়েছে কোনো সমস্যা। সেক্ষেত্রে অবশ্যই পরামর্শ নিতে হবে চিকিৎসকের।
চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ না করে যদি দীর্ঘদিন ধরে পেইন কিলার বা প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়া হয় তাহলে গুরুতর হতে পারে শারীরিক জটিলতা। এমনকি ভবিষ্যতে এন্ডোমেট্রিওসিস, টিউমার, ক্যান্সারের মতো রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। তবে এমন কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যার সাহায্যে অনেকটাই প্রশমিত করা যায় পিরিয়ডের (Periods) ব্যথা।
পিরিয়ডের (Periods) ব্যথা কমানোর কিছু ঘরোয়া টোটকা:
• হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য। গরম জলের সেঁক পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও হালকা গরম জলে স্নান করতে পারেন।
• আদা কুচি দিয়ে সেবন করতে পারেন গরম চা। গরম চা বা কফি খেলে অনেকটাই ব্যথা প্রশমিত হয়।
• নিয়মিত শারীরিক চর্চা বা ব্যায়াম করার মতো ভালো কিছু হতে পারে না। তবে পিরিয়ডের সময় ব্যায়াম করলে কষ্ট হতে পারে। তাই তখন চেষ্টা করবেন হালকা শরীর চর্চা বা হাঁটাহাঁটি করার।
• পিরিয়ডের সময় মানসিকভাবে টেনশন ফ্রি থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে বন্ধুদের সাথে গল্প করতে পারেন। বই পড়তে পারেন কিংবা সিনেমা দেখতে পারেন।
আরোও পড়ুন : জীবনে মাত্র ৮ দিন গিয়েছিলেন স্কুলে, এই শিল্পীর গান শোনেননি এমন বাঙালি নেই বিশ্বে! চিনতে পারছেন ?
• প্রচুর পরিমাণ জল ও ফলের রস খেতে হবে। শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম বা ভিটামিনের অভাবে অনেক সময় পিরিয়ডের ব্যথা চাগার দিয়ে ওঠে।