ভিখারি পাকিস্তান! পেট্রোলের দাম এক লাফে ২৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৭২! বন্ধ জ্বালানি আমদানিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভিখারি হয়ে গেছে পাকিস্তান (Pakistan)। কঙ্কালসার চেহারাটা ক্রমশই প্রকট হচ্ছে। ডলারের অভাবে বিদেশ থেকে তেল আমদানি করতে না পারায় জ্বালানির ভয়াবহ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আর এবার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে সেখানে পেট্রোলের (petrol) দাম পৌঁছল ২৭২ টাকা প্রতি লিটার। কারণ, বিদেশি মুদ্রার তুলনায় পাকিস্তানি মুদ্রার মান একধাক্কায় নেমে গেছে অনেকটা। এর ফলেই হুহু করে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।

দেশের অর্থনীতিকে আবার চাগিয়ে তুলতে হবে। দাওয়াই একটাই। বিভিন্ন পণ্যের উপর বিশাল অঙ্কের কর। এই উদ্দেশ্যেই পেশ করা হয়েছে মিনি বাজেট। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয় যে, জ্বালানির দাম একলাফে ২২ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে গিয়েছে। প্রতিদিন বেড়ে চলা অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ে নাজেহাল পাক নাগরিকরা। এবার পেট্রোলের দামও বেড়ে যাওয়ায় চোখ কপালে উঠেছে সে দেশের অধিবাসীদের।

আজ সকাল থেকেই পাকিস্তানে জারি হয়ে গিয়েছে নতুন দাম। লিটার প্রতি পেট্রোলের দর হয়েছে ২৭২ টাকা। যা সর্বকালীন রেকর্ড। এক লিটার ডিজেল এখন ২৮০ টাকা। কেরোসিন লিটার প্রতি ২০২ টাকা ৭৩ পয়সা। এরই মধ্যে একের পর এক পেট্রল পাম্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পেট্রল-ডিজেলই নয়, মিলছে না গ্যাসোলিনও। ফলে সিএনজি চালিত যানবাহনও রাস্তায় নামতে পারছে না। যে পাম্পগুলিতে জ্বালানি মিলছে সেখানে অবস্থা আরও খারাপ। পাগলের মতো ছুটছেন সাধারণ মানুষ। ফলে ওই সমস্ত পাম্পগুলিতে চার চাকা ও দুই চাকার গাড়ির বিরাট লাইন পড়ছে। এরই মধ্যে দেশে জ্বালানি তেলের সঙ্কট একেবারেই নেই বলে দাবি করেছেন জ্বালানি মন্ত্রী মুসাদিক মালিক। সেই সঙ্গে জ্বালানি নিয়ে কেউ কালোবাজারি চালালে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন।

pakistan petrol crisis

শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গত কয়েক মাস ধরেই চরম আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে পাকিস্তান। বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার নেমে এসেছে তিনশো কোটি ডলারের নিচে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভিক্ষার থলি নিয়ে বিভিন্ন দেশের দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থেকে সেনাপ্রধান সকলেই। কিন্তু দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়ানো পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য দিতে রাজি হচ্ছে না আইএমএফ সহ আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি। ডলারের অভাবে বিদেশ থেকে জ্বালানি আমদানি পুরোই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে দেশে মজুত জ্বালানির ভাণ্ডারও তলানিতে এসে দাঁড়িয়েছে ভারতের পড়শি রাষ্ট্রের।

পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের পদাধিকারী খাজা আতিফ জানান, ইসলামাবাদ, করাচি, লাহোর সহ অধিকাংশ বড় শহরের পেট্রল পাম্পগুলি জ্বালানি শূন্য হয়ে পড়েছে। সিএনজি ও গ্যাসোলিনও নেই। যে সামান্য কয়েকটি পাম্পে জ্বালানি রয়েছে সেখানে গাড়ির লম্বা লাইন। পেট্রল-ডিজেল ভরার জন্য দুদিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বহু গাড়ির চালক ও মালিকরা।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর