বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পেট্রোপণ্যের (petroleum products) দাম বৃদ্ধি নিয়ে যদিও লাগাতার বিরোধ শানাচ্ছেন বিরোধীরা, কিন্তু দাম কমবার বিন্দুমাত্র লক্ষণ নেই বরং প্রায় প্রতিদিনই একটু একটু করে আরও বেশি মহার্ঘ হয়ে উঠছে পেট্রোল (petrol) ডিজেল (diesel) কিম্বা রান্নার গ্যাস (LPG)। ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের পেট্রোল সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছিল আগেই। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) নাম। গতরাতে ৩৯ পয়সার দাম বাড়ার ফলে এই মুহূর্তে কলকাতায় প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম হয়ে দাঁড়ালো ১০০.২৩ টাকা। অন্যদিকে ২৩ পয়সা বেড়ে লিটার প্রতি ডিজেলের দাম দাঁড়ালো ৯২.৫০ টাকা।
লাগাতার দামের এই বৃদ্ধিতে রীতিমতো নাজেহাল আমজনতা। পেট্রোপণ্য তথা বিশেষত পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে বাজারেও। রীতিমতো অগ্নিমূল্য হয়ে উঠছে জিনিসপত্রের দাম। ভোজ্য তেলের দাম ইতিমধ্যেই মারাত্মকভাবে বেড়ে গিয়েছে। যদিও বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধিকেই এর কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ভারত থেকেই তেল কেনে ভুটান, নেপালের মতো পড়শী রাষ্ট্রগুলি। কিন্তু সেখানেও তেলের দাম ভারতের তুলনায় কম কিভাবে?
করোনার মহামারী কালে এমনিতেই টান পড়েছে আমজনতার পকেটে। তার ওপর গত ২ মে পশ্চিমবঙ্গ সহ ৫ রাজ্যে নির্বাচন মেটার পর থেকে পেট্রোলের দাম বেড়েছে প্রায় ৩৬ বার। অন্যদিকে ডিজেলের দাম বেড়েছে ৩৪ বার। যার জেরে এখন রীতিমতো সমস্যায় আমজনতা। ইতিমধ্যেই পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। কিন্তু সুরাহা কিছুই হচ্ছে না।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম কর্তা প্রসেনজিৎ সেন জানিয়েছেন, লাগাতার পেট্রোলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ কালো ব্যাজ পড়ে পেট্রোল পাম্পগুলিতে কাজ করবেন তারা। পাশাপাশি জেলাগুলির মত সাতটা থেকে সাড়ে সাতটা অবধি সন্ধ্যের দিকে নেভানো থাকবে আলো। এই পরিস্থিতিতে পাম্প মালিকদের দাবি, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় উভয়েই কর ছাড় কার্যকর করুক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে এক টাকা কর ছাড়
দিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সাধারন জনতা সেক্ষেত্রে বড় কোনো উপকার পাননি। কারণ পাশাপাশি দাম বাড়িয়েছে তেল সংস্থাগুলিও। শুধুমাত্র শেষ ৩৪ দিনে পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৯.৬১ টাকা এবং ডিজেলের দাম বেড়েছে ৮.৮৯ টাকা। যার জেরে এখন প্রত্যেকদিনই আশঙ্কার প্রহর গুনছেন আমজনতা।