বাংলাহান্ট ডেস্ক : জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথি আজ। ফলহারিণী অমাবস্যা নামে পরিচিত এই তিথি। তবে অমাবস্যা তিথি শুরু হয়ে গেছে রাত থেকেই। রাত্রিবেলা পালন হয় অমাবস্যা নিশি। আজ অমাবস্যা পালন করা হবে উদয় তিথি অনুযায়ী। বলা হয়ে থাকে এই তিথিতে যদি কালী মায়ের পুজো (Kali Puja) করা হয়, তাহলে মা সবার খারাপ কর্মফল হরণ করে প্রদান করেন অভিষ্ট ফল ও মোক্ষ।
এই বিশেষ তিথিতে অনেকেই মাকে বিশেষ ফল অর্পণ করে নিজের মনস্কামনার কথা জানান। মনস্কামনা যতক্ষণ না পূরণ হয় ততক্ষণ এক বছর পর্যন্ত খাওয়া যায় না সেই ফল। সনাতন নীতি অনুযায়ী, এক বছর পর সেই ফল নদীতে বিসর্জন দিয়ে পুনরায় ভক্ষণ করা শুরু করা যেতে পারে। ফলহারিণী অমাবস্যা সাড়ম্বরে পালিত হয় রামকৃষ্ণ মিশনে।
আরোও পড়ুন : নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়, পার্থর আরও সম্পত্তির খোঁজ পেল ED! এবার কত কোটি?
শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ ১২৮০ বঙ্গাব্দের ১৩ই জৈষ্ঠ ফলহারিনি কালীপুজোর দিন মা সারদাকে ষোড়শী জ্ঞানে পুজো করেন। আধ্যাত্বিক ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। রামকৃষ্ণ এদিন ষোড়শো উপচারে পুজো করে ভোগ নিবেদন করেন মা সারদাকে। ১৮৯৭ সালে রামকৃষ্ণদেবের পরম ভক্ত বিবেকানন্দ প্রতিষ্ঠা করেন রামকৃষ্ণ মিশন। মিশন প্রতিষ্ঠার পর বিবেকানন্দ মা সারদাকে সংঘ জননী ঘোষণা করেন।
বেলুড় মঠে ১৯০১ সালে বিবেকানন্দ দুর্গাপুজো করেন। মা সারদার নামে করা হয় পুজোর সংকল্প। ফলহারিনী অমাবস্যার দিন ষোড়শী পুজোর আয়োজন করা হয় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রত্যেকটি শাখায়। এদিন রামকৃষ্ণ মা সারদা দেবীকে অর্পণ করেন সমস্ত সাধনার ফল। বর্তমান সমাজে নারীর প্রতি পুরুষের বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসাবেও এই ঘটনা বহুল প্রচলিত।