বাংলাহান্ট ডেস্ক : লটারি (Lottery) হচ্ছে ভাগ্য বদলের চাবিকাঠি। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে লটারি ব্যবসা বেশ প্রসার লাভ করেছে। পাড়ায় পাড়ায় তৈরি হয়েছে লটারির দোকান। কিন্তু এমন অনেক বিক্রেতা রয়েছেন যারা রোদ-ঝড়-জলে ঘুরে ঘুরে লটারি বেচে থাকেন। বলা যেতে পারে ঘুরে ঘুরে এনারা ফেরি করে থাকেন ভাগ্য।
এমনই একজন ‘যাযাবর’ লটারি বিক্রেতা হলেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) অন্তর্গত ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি অঞ্চলের কৃষ্ণ চন্দ্র সেন। বিশেষভাবে সক্ষম এই লটারি বিক্রেতা বুঝেছেন যে বর্তমান যুগে কিছু বিক্রি করতে হলে চাই বিজনেস স্ট্র্যাটেজি। কৃষ্ণ চন্দ্র সেন তেমনই কিছু পন্থা অবলম্বন করেছেন।
আরোও পড়ুন : ডাকা হচ্ছে বারংবার , তবুও ঘুম থেকে উঠছে না বিক্রম, প্রজ্ঞান! কী হবে এখন ? ISRO যা বললো…
কৃষ্ণ বাবু পকেটে বিশেষভাবে সক্ষম সার্টিফিকেট নিয়ে ভ্যান চালিয়ে লটারি বিক্রি করেন। তবে তার মূল ইউএসপি হচ্ছে তার কন্ঠ। পুরুষ ও নারী, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দুই কণ্ঠেই তার অবাধ হাঁকাহাঁকি। পুরুষ কন্ঠে নারী স্বর এনে তিনি বিক্রি করেন লটারি। তার এই অভিনব পন্থায় অবাক হন এলাকাবাসী থেকে ক্রেতা সকলেই।
এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণ চন্দ্র সেন বলেছেন, “তিন মাসের অধ্যাবসায় সম্ভব হয়েছে এটি। পুরুষ কন্ঠের পাশাপাশি আমি এখন নারী কন্ঠেও কথা বলতে পারি। আমার এই কণ্ঠস্বরের জন্যই আকৃষ্ট হন ক্রেতারা। আমার গলা শুনে ছুটে আসেন অনেকেই। তাদের লটারির টিকিট বিক্রি করে আমার সংসার চলে।”